Header Ads

সাংবাদিক কাকে বলে

সাংবাদিক কাকে বলে

সাংবাদিক কাকে বলে

সাংবাদিকতা এমন একটা পেশা যেটার মাধ্যমে চাইলে মানব সেবা করা সম্ভব আজকে আমরা সাংবাদিকতার ভিবিন্ন দিক সম্পর্কে জানবো। আসুন আগে জেনে নেই সংবাদ কি? সংবাদ হচ্ছে সমসাময়িক ঘটনা সম্পর্কিত তথ্য । বিভিন্ন গণমাধ্যমের (media) মাধ্যমে: মানুষের মুখে মুখে (word of mouth), ছাপা প্রক্রিয়া (postal systems), পোস্ট করার মাধ্যমে (postal systems), বেতার ও টিভি সম্প্রচার(broadcasting), দূর যোগাযোগ (electronic communication) বা কোন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষ্য দ্বারা সংবাদ সরবরাহ করা হয়।

চলুন এবার জানা যাকা সাংবাদিক কাকে বলে আর সাংবাদিকের কাজ কি

সাংবাদিক কাকে বলে


সংবাদদাতা বা সাংবাদিক (বাংলা উচ্চারণ: [সাংবাদিক]  (ইংরেজি: Journalist) বিভিন্ন স্থান, ক্ষেত্র, বিষয় ইত্যাদিকে ঘিরে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংবাদ সংগ্রহসহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহপূর্বক সংবাদ কিংবা প্রতিবেদন রচনা করে সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেরণ করে থাকেন । পেশাজীবি হিসেবে একজন সাংবাদিকের কাজই হচ্ছে সাংবাদিকতায় সহায়তা করা। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ কিংবা নারী সাংবাদিকতাকে অন্যতম মর্যাদাসম্পন্ন পেশারূপে বেছে নিচ্ছেন।

সংবাদ পরিবেশনের সাধারণ বিষয়গুলোর মধ্যে যুদ্ধ, সংকট, সরকার, রাজনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, আবহাওয়া, অর্থনীতি, ব্যবসা, ফ্যাশন, এবং বিনোদন ও ক্রীড়াবিষয়ক ঘটনা, অদ্ভুত বা অস্বাভাবিক ঘটনা রয়েছে। সরকারি ঘোষণা, রাজকীয় অনুষ্ঠন সম্পর্কে অবগত করা, আইন, কর, গণ স্বাস্থ্য, এবং অপরাধীদের বিষয়ে ধারণা’র বর্ণনা প্রাচীন কাল থেকে সংবাদ হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে । সংবাদ সম্পর্কে জানা ও তা ভাগাভাগি করার আকাঙ্ক্ষা মানুষের চিরন্তন । একে অন্যের সঙ্গে কথা বলে এবং তথ্য ভাগাভাগি করে মানুষ তা পূরণ করে । কখনো কখনো সরকারি যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং গুপ্তচর নেটওয়ার্ক দ্বারা চালিত হয়ে প্রযুক্তিগত এবং সামাজিক উন্নয়ন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার গতি বাড়িয়ে দিতে পারে সেইসাথে এর আধেয়কে প্রভাবিত করতে পারে। সংবাদপত্রের নিবিড়ভাবে সংযুক্ত যে ধারার সংবাদের সঙ্গে আমরা পরিচিত তা কোর্টের ইশতেহার হিসেবে চীনে উদ্ভূত হয়, পরবর্তীতে কাগজ ও ছাপাখানার দ্বারা পরিমার্জিত হয়ে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে।

একটি সূত্র দাবী করছে যে, চতুর্দশ শতাব্দীতে নিউ শব্দের বহুবচন হিসেবে নিউজ বা সংবাদ শব্দটি বিশেষভাবে ব্যবহার করা হতো। মধ্যযুগীয় ইংরেজি হিসেবে নিউজ শব্দটির সমার্থক ছিল নিউইজ (newes), ফরাসী শব্দ নোভেলেজ (nouvelles) এবং জার্মান শব্দ নিউয়েজ (neues)।

লোকমুখে 'নিউজ' শব্দটিকে বিশ্লেষণ করা হয়

জেসিকা গ্যারিটসন ফিঞ্চ (Jessica Garretson Finch) ১৮৯০ সালে বার্নার্ড কলেজে (Barnard College) পড়ানোর সময় “সমসাময়িক ঘটনাবলী” ("current events") ব্যাকাংশটি আবিষ্কার করেন।

সংবাদ ( "news") শব্দটির অন্তর্নিহিত অর্থের মতো ( "news") এর সাধারণ গূঢ়ার্থ হচ্ছে নতুন তথ্য উপস্থাপন। সংবাদ বিষয়ে এই নতুনত্ব বিষয়টিকে এমন একটি অনির্দিষ্ট গুণ দিয়েছে যা এটিকে ইতিহাসের অতি সর্তকতামূলক অনুসন্ধান এবং বা অন্যান্য পাণ্ডিত্যপূর্ণ বিষয় থেকে আলাদা করেছে।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঐতিহ্যগতভাবেই অধিকাংশ বৃহৎ শহরে সকাল এবং বিকালে সংবাদপত্র প্রকাশিত হতো। প্রচারমাধ্যমের সম্প্রসারণ এবং সংবাদের ক্ষেত্র অসম্ভবরকমভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ বিকালের সংবাদপত্রের প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশে কেবলমাত্র সকালেই সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়।

সকালে সংবাদপত্র প্রকাশের ফলে কম ক্ষতি হয়। মূলতঃ সংবাদের গুণগত মান ও দৃষ্টিভঙ্গীই এতে সম্পৃক্ত। সাধারণতঃ সংবাদ ৫টি ডব্লিউ'র উপর ভিত্তি করে তৈরী হয়। হু, হুয়াট, হোয়েন, হোয়ার, হুয়াই ছাড়াও আরও একটি ডব্লিউ (হাউ) রয়েছে। এগুলোকে ভিত্তিমূল হিসেবে ধরে যে-কোন বিষয় বা ঘটনা নিয়ে সংবাদ তৈরী করা সম্ভবপর। এশব্দগুলোর মাধ্যমে সংবাদ অনুসন্ধান কার্যক্রমের পর আর কোন প্রশ্ন বাকী থাকে না। প্রথম পৃষ্ঠায় সাধারণতঃ গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ উপস্থাপন ও তথ্য পরিবেশনকে সবিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। এরফলে ব্যস্ত পাঠকেরা স্বল্প সময়ের মধ্যেই তাদের অভিষ্ট সংবাদের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে থাকেন।

ক্যাবল নিউজ চ্যানেল হিসেবে বিবিসি নিউজ, ফক্স নিউজ, এমএসএনবিসি, সিএনএন সংবাদের গুরুত্ব অনুসারে প্রচারের ব্যবস্থা করে।

১৬০৫ সালে প্রকাশিত রিলেশন অলার ফুর্নেমেন আন্ড গেডেনঙ্কুরডিগেন হিস্টোরিয়েনকে বিশ্বের ১ম সংবাদপত্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

বর্তমানে সংবাদপত্রে মুদ্রণের জন্য নিউজরুম বা বার্তাকক্ষে ফোন ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি একজন প্রতিবেদক টাইপ করে তার প্রতিবেদন নিউজরুম বা বার্তাকক্ষে প্রেরণের ব্যবস্থা করেন। সাধারণত তারের মাধ্যমে কিংবা হস্তলিখিত সংবাদ নির্দিষ্ট সংস্করণে প্রকাশের জন্য কিংবা অন্যান্য সংবাদের সাথে প্রকাশের জন্য পাঠানো হয়।

মৌলিক কাজের জন্য প্রয়োজন সময়, মনোযোগ এবং পরিশ্রম। এর পাশাপাশি কৌতূহল এবং জানার আগ্রহ। সাংবাদিকতার মানেই হচ্ছে মানুষকে নতুন কিছু বলা। মৌলিক সাংবাদিকতার জন্য যে নৈপুণ্য দরকার সে বিষয়ে বিভিন্ন লেকচার এবং কর্মশালায় বিবিসির সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে টুডে অনুষ্ঠানের প্রাক্তন সম্পাদক কেভিন মার্শ-এর দেয়া বক্তব্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে এই গাইড।

সাংবাদিক কাকে বলে

সকল সাংবাদিক চায় মৌলিক কাজ করতে। এই কারণেই আমরা এই পেশায় যোগ দিয়েছি।

মৌলিক সাংবাদিকতা – এই দুটো শব্দ এক সাথে বললে মনে হয় একই কথা দু’বার বলা হচ্ছে । সেটা মনে হবারই কথা। সাংবাদিকতার মানেই হচ্ছে মানুষকে নতুন কিছু বলা, এমন কিছু বলা যেটা তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে, তাদের ধরে রাখবে।  সকল সাংবাদিক – এমনকি যাদের নিয়ে আমরা গর্ব করি – দুশ্চিন্তায় থাকে তাদের কাজ কতটুকু মৌলিক বা অরিজিনাল হচ্ছে, তা নিয়ে। কোথা থেকে পরবর্তী অরিজিনাল স্টোরি আসবে, তা নিয়ে। মৌলিক সাংবাদিকতার জন্য বিশেষ নৈপুণ্য দরকার। সেই  নৈপুণ্য আপনি শিখতে পারেন, কিন্তু এই পেশায় অনেকে মনে করছেন এই বিশেষ  নৈপুণ্য কাজে লাগানোর সুযোগ ক্রমশ: কমছে ।

মাত্র কয়েক বছর আগের তুলনায় সাংবাদিকদের এখন অনেক বেশি স্টোরি তৈরি করতে হয়। বেশি কাজ উৎপাদনের চাপে আপনি ভাবতে পারেন আপনার আসল কাজ হচ্ছে সব কিছু প্রক্রিয়াজাত করা – নতুন কোন গল্পের কথা ভাবা বা অনুসন্ধান করা নয়। তাছাড়া, আজকাল ইন্টারনেটে যেভাবে তথ্য এবং অপ-তথ্যের বন্যা বয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে সঠিক তথ্য খুঁজে পেতে গিয়ে ডুবে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

মনোভাব এবং অভ্যাস

মৌলিক কাজের জন্য প্রয়োজন সময়, মনোযোগ এবং পরিশ্রম। এখানে দায়সারা গোছের কিছু করলে চলবে না – এখানে কঠোর পরিশ্রম দরকার, শুধু কয়েকদিনের জন্য নয়, অনবরত। এখানে মনোভাবের প্রয়োজন হতে পারে এবং অভ্যাসের প্রয়োজন নির্ঘাত হবে।

কৌতূহল

আমি যখন এই লেকচার এবং কর্মশালাগুলোর পরিকল্পনা করছিলাম, তখন বিবিসির অনেক সম্পাদক, রিপোর্টার. প্রযোজক এবং গবেষক-এর সাথে আমার কথা হয় এবং আমি তাদের পরামর্শ নেই।

সবার তালিকায় – এবং বেশির ভাগ তালিকার শীর্ষে – ছিল একটি শব্দ। কৌতূহল। আপনি যদি পুরোপুরি উৎসুক না হন, তাহলে আপনি আপনার সময় নষ্ট করছেন। কিছু জানার ইচ্ছা দিয়েই স্টোরি খোঁজার কাজ শুরু হয়।

‘আপনি যদি কখনোই নিজের একটি স্টোরি আইডিয়া মাথায় নিয়ে কাজে না আসেন, তাহলে আপনার স্টোরি খোঁজার কৌশল রপ্ত করা উচিত।’

বিবিসি বেলফাস্ট টিম-এর একজন বলছেন তাদের এক সম্পাদক কী করতেন :

তিনি একটি রাস্তার পুরোটা হেঁটে সবাইকে চ্যালেঞ্জ করতেন যে, তিনি সেই রাস্তার ৫০০ গজের মধ্যে অন্য সবার চেয়ে বেশি স্টোরি খুঁজে পাবেন – যেমন, রাস্তায় ময়লার পরিমাণ, পার্ক করার সুবিধা, নতুন গাড়ির সংখ্যা, ট্রাফিক পুলিশ, কফির দোকান ধুমপানরত লোকজনে ভরা, কারণ অফিসে সিগারেট খাওয়া নিষেধ, দোকান খুলেছে, বন্ধ হচ্ছে, রাস্তায় ভিক্ষুক, নতুন বাড়ি-ঘর তৈরি হচ্ছে।

আমরা কত দিন একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাশ দিয়ে যাই কিন্তু কখনো জিজ্ঞেস করিনা, আপনারা এখানে কী বানাচ্ছেন?’

আরেকজন সম্পাদক বিষয়টি এভাবে ব্যাখ্যা করেন:

‘আপনার মনে জানার আগ্রহ এতই প্রবল হতে হবে যে, আপনি একটি সাদা দেয়াল দেখে জানতে চাইবেন, এই দেয়ালে কিছুই নাই কেন?’

প্রশ্ন করুন, কেন .... এবং তারপর, কেন না

তাহলে আপনি আপনার কৌতূহলী মনকে কীভাবে জাগাবেন?

আপনি অবশ্যই প্র্যাকটিস করবেন। তবে সাবধান থাকবেন: আপনি যদি বিষয়টি ভালমতো রপ্ত করে ফেলেন, তাহলে আপনি কিন্তু বেশ বিরক্তিকর মানুষ হয়ে যেতে পারেন!

আপনি এমন একটি মনোভাব তৈরি করতে যাচ্ছেন, যার ফলে আপনি ‘কেন এরকম হলো’, বা ‘এখানে আসলে কী হচ্ছে’ ইত্যাদি প্রশ্ন চিন্তা না করে কারো কথা শুনতে পারবেন না, বা কোন পত্রিকা বা ম্যাগাজিন পড়তে পারবেন না, এমনকি কোন রাস্তা দিয়ে হেঁটেও যেতে পারবেন না।

আপনি যা দেখলেন বা শুনলেন বা পড়লেন, সেটা দিয়ে যেসব প্রশ্নের জবাব পান নি, সেসব প্রশ্ন নিয়ে চিন্তা করতে নিজেকে বাধ্য করুন।

পত্রিকার ‘সংক্ষেপে বিশ্ব খবর’ সেকশনে গিয়ে প্র্যাকটিস করুন – সেখানে সব চেয়ে ছোট খবরটি পড়ুন এবং ঐ কয়েক লাইনে যেসব প্রশ্নের জবাব নেই, সেই প্রশ্নগুলো ভাবুন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল সমূহ

চায়না টাউন পার্ক



নিজের প্রতিক্রিয়া দেখুন

যে কোন স্টোরি বা ঘটনা নিয়ে আপনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া কী ছিল সেটা শুনুন।

শুরু করার জন্য কিছুক্ষণের জন্য নিজেকে নিরপেক্ষতা থেকে সরিয়ে নিন। আপনার প্রথম প্রতিক্রিয়া বা প্রথম চিন্তা কী ছিল? অন্যান্যরা কি তাই ভাববে? যখন আপনি আপনার প্রতিক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করবেন, তখন কী হবে? আপনার ভাবনাকে সেটা কোথায় নিয়ে যাবে?

আর আপনি প্রতিদিন যেসব জিনিস নিয়ে কাজ করেন সেগুলো নিয়েই প্র্যাকটিস করুন – দেখবেন, হয়তো অন্যান্যরা যেটা দেখতে পারেনি, আপনি সেটাই খুঁজে পাবেন।

বিবিসি নিউজ নাইট-এর মাইকেল ক্রিক বলছেন:

এমনকি যখন প্রতিদিনের সাধারণ একঘেঁয়ে প্রযোজনার কাজ করছেন, সব সময় জিজ্ঞেস করুন, ‘আমি কী বলতে পারি যেটা এই স্টোরির জন্য নতুন কিছু হবে’?।

এই ভাবে চিন্তার প্রক্রিয়া শুরু করার বড় দিক হচ্ছে, আপনাকে কোন কিছুই জানতে হবে না। শুধু উৎসুক হন আর ভাবুন। একজন সিনিয়র সম্পাদক উত্তর ইংল্যান্ডের এক স্থানীয় রেডিও স্টেশনে তার প্রথম এ্যাসাইনমেন্ট-এর কথা মনে করে বলছেন:

‘আমি কিছুই জানতাম না। আমি ঐ শহরকে চিনতাম না, আমার কোন কন্টাক্ট ছিল না, কোথায় শুরু করতে হবে তাও জানতাম না। তারপর প্রধানমন্ত্রী – তখন ক্ষমতায় ছিলেন মারগারেট থ্যাচার  - আফগানিস্তানে আক্রমণ চালানোর জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন।

আমার হাতে তখন তেমন কোন কাজ ছিল না। আমি তখন নিজেকে স্থানীয় একজন ব্যবসায়ীর জায়গায় কল্পনা করলাম। তারপর স্থানীয় এক রপ্তানিকারক কোম্পানির প্রধান নির্বাহীকে আগাম যোগাযোগ ছাড়াই টেলিফোন করলাম। তিনি ক্ষমতাসীন টোরি দলের স্থানীয় একজন নেতা ছিলেন, এবং সরকারের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত ছিলেন । তার সাথে সাক্ষাৎকার আমাদের নিউজ বুলেটিনের লিড স্টোরি হয়ে যায় । সাক্ষাৎকারের ফলো-আপ দিয়ে স্থানীয় পত্রিকা এবং আঞ্চলিক টেলিভিশনের প্রধান খবর হয়ে যায় ।

সাধারণভাবে যিনি সংবাদপত্রের জন্য সংবাদ সংগ্রহ করেন ও লিখেন তাকেই সাংবাদিক বলে অভিহিত করা হয়। তবে বর্তমান সময়ের আধুনিক সাংবাদিকতার বিশাল পরিসরে সাংবাদিককে নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞায় বেঁধে দেওয়া কষ্টসাধ্য বিষয় । এখন সংবাদপত্রের ধরনে যেমন পরিবর্তন এসেছে, তেমনি সাংবাদিকদের কাজের পরিধিতেও পরিবর্তন এসেছে । সাংবাদিকরা জাতির বিবেক । ‘শতভাগ সঠিক সংবাদ প্রচারের কোনো বিকল্প নেই । মানুষ ঘটনার সঠিক সংবাদ জানতে চায় । সত্য লুকানোর মধ্যে ঘটনার প্রতিকার হয় না । সঠিক ও সৎ সাংবাদিকতা সমাজ বদলে দিতে পারে ।

সংবাদদাতা বা সাংবাদিক (ইংরেজি: Journalist) বিভিন্ন স্থান, ক্ষেত্র, বিষয় ইত্যাদিকে ঘিরে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংবাদ সংগ্রহসহ বিভিন্ন ধরণের তথ্য সংগ্রহপূর্বক সংবাদ কিংবা প্রতিবেদন রচনা করে সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেরণ করে থাকেন এটাই সাংবাদিক বা সংবাদদাতার কর্ম । একজন প্রতিবেদক তৃণমূল পর্যায় থেকে তথ্যের উৎসমূল অনুসন্ধান করেন, প্রয়োজনে সাক্ষাৎকার পর্ব গ্রহণ করেন, গবেষণায়সংশ্লিষ্ট থাকেন এবং অবশেষে প্রতিবেদন প্রণয়নে অগ্রসর হন। তথ্যের একীকরণ সাংবাদিকের কাজেরই অংশ, যা কখনো কখনোরিপোর্টিং বা প্রতিবেদন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে।

সততা একজন সাংবাদিকের সবচেয়ে বড় গুণ । অনেক যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকলেও সততার অভাবে অর্জিত সম্মান ধুলোয় মিশে যেতে পারে । যেহেতু গণমাধ্যমকে সমাজের দর্পণ বলা হয়, তাই গণমাধ্যমকর্মীদেরও দর্পণের মতো স্বচ্ছ হতে হবে । এটা তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশবিশেষ ও বিশেষ ভূষণও বটে।

সাংবাদিকতা যতোটা না পেশা তার চেয়ে অনেক বেশি নেশা, ভালোলাগা । এই নেশাটা হচ্ছে দেশের জন্য, মানুষের জন্য কিছু করার নেশা । আমার মনে হয়, একজন চিকিৎসক যেভাবে মানুষের সেবা করতে পারেন তার চেয়ে অনেক বেশি সেবা করতে পারেন একজন সাংবাদিক । কোন সাংবাদিকের এই নেশা কেটে গেলে তিনি তখন যতোটা না সাংবাদিক থাকেন তার চেয়ে বেশি চাকুরিজীবী ।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কোনো একক ও সর্বসম্মত সংজ্ঞা পাওয়া মুশকিল । তবে পেশাদার সাংবাদিকরা, এর মূল উপাদান নিয়ে মোটামুটি একমত: পদ্ধতি বা পরিকল্পনামাফিক (সিস্টেম্যাটিক) অনুসন্ধান, গভীর (ইন-ডেপথ) ও মৌলিক গবেষণা এবং গোপন তথ্য উন্মোচন। অনেকে আবার মনে করেন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ব্যাপকভাবে উন্মুক্ত তথ্য (পাবলিক ডাটা) ও নথিপত্র ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং এ ধরনের প্রতিবেদনের মূল বিবেচ্য থাকে সামাজিক ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা।

ইউনেস্কোর সংজ্ঞাটিও অনেকেই উল্লেখ করে থাকেন । ইউনেস্কো তার প্রকাশনা ‘স্টোরি-বেইজড এনকোয়ারি’ নামের এক হ্যান্ডবুকে বলছে, “অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার উদ্দেশ্য হচ্ছে গোপন বা লুকিয়ে রাখা তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরা । সাধারণত ক্ষমতাবান কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এসব তথ্য গোপন রাখে; কখনো হয়তো-বা বিপুল ও বিশৃঙ্খলভাবে ছড়িয়ে থাকা তথ্যের মধ্যে লুকিয়ে থাকে, যা চট করে খুঁজে পাওয়া কঠিন । এই কাজের জন্য একজন সাংবাদিককে সাধারণত প্রকাশ্য ও গোপন নানা উৎস (সোর্স) ব্যবহার করতে হয়, ঘাটতে হয় নানা ধরনের নথিপত্র ।” আবার ডাচ-ফ্লেমিশ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সংঘ ভিভিওজে’র সংজ্ঞায়, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলতে সেসব প্রতিবেদনকে বোঝায়, যেগুলো “বিশ্লেষণাত্মক ও কোনো একটি বিষয়কে তলিয়ে দেখার চেষ্টা করে”।

কোনো কোনো সাংবাদিক আবার মনে করেন, সব রিপোর্টিংই অনুসন্ধানমূলক। এই দাবির পেছনে খানিকটা সত্য রয়েছে । বিট সাংবাদিকরা, যারা বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কাজ করেন অথবা অনুসন্ধানী টিমের সদস্যরা, যারা কয়েক সপ্তাহ ধরে একটা স্টোরি করেন,  উভয়পক্ষই অনেকাংশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কৌশল ব্যবহার করে থাকেন । কিন্তু অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এর চেয়ে ব্যাপক । এতে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রণালি অনুসরণ করতে হয় । এটি এমন এক ধরনের শিল্প, যা মুঠোয় আনতে বছরের পর বছর চেষ্টা করে যেতে হয় । অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পাওয়া প্রতিবেদনগুলো দেখলেই বোঝা যায়, কত ব্যাপক গবেষণা আর কঠোর শ্রম এর পেছনে ব্যয় করা হয়েছে। কঠিন একাগ্রতা, আর বিষয়ের গভীরে যাওয়ার নিষ্ঠা আছে বলেই এই স্টোরিগুলো জনগণের সম্পদ লুট, পরিবেশ বিপর্যয়, ক্ষমতার অপব্যবহার,স্বাস্থ্যসেবার করুণ দশা ইত্যাদি এত জোরালোভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন ।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে কখনো কখনো এন্টারপ্রাইজ, ইন-ডেপথ বা প্রজেক্ট রিপোর্টিংও বলা হয়। কিন্তু একে স্কুপ বা লিক জার্নালিজমের (কোনো নথি ফাঁস বা কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির দেওয়া চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ) সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা সমীচীন নয়। অনেক উদীয়মান গণতান্ত্রিক দেশে হরহামেশাই বিশ্লেষণাত্মক বা ফাঁস হওয়া তথ্য সমৃদ্ধ সংবাদকে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলে চালিয়ে দেওয়া হয় । একইভাবে অপরাধ ও দুর্নীতিবিষয়ক খবর, বিশ্লেষণ, এমনকি মতামতকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বলা হয় ।

অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকরা বলে থাকেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বৈশিষ্ট্য হলো সতর্কতার সঙ্গে অনুসন্ধানের কৌশল নির্বাচন, তথ্যের জন্য প্রাথমিক সোর্সের ওপর নির্ভর করা, একটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে তাকে পরখ করে দেখা এবং সবশেষে নিখুঁতভাবে সত্যতা যাচাই করা । “অনুসন্ধান” শব্দের আভিধানিক অর্থই হলো প্রণালিবন্ধ বা নিয়মানুগ (সিস্টেম্যাটিক) অনুসন্ধান”, যা একদিন বা দুই দিনে করা যায় না; একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধানের জন্য সময় দরকার হয়।

এই ধারার সাংবাদিকতা, নতুন নতুন কৌশল ব্যবহারে অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে থাকে। যেমন, ১৯৯০ সালে তথ্য বিশ্লেষণ ও চিত্রায়ণের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করেন অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা । ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান এবং ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টার্স অ্যান্ড এডিটর্স – এর সাবেক প্রধান নির্বাহী ব্র্যান্ট হিউস্টন বলেন, “অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কাজ করার নতুন পথ দেখায় । এই কৌশলগুলো ধীরে ধীরে প্রতিদিনকার সাংবাদিকতার সঙ্গে মিশে যায় এবং শেষপর্যন্ত গোটা পেশারই মান বাড়ায়।”

সাংবাদিক কাকে বলে

সংবাদ বলতে মুদ্রণজগৎ, সম্প্রচার কেন্দ্র, ইন্টারনেট অথবা তৃতীয় পক্ষের মুখপাত্র কিংবা গণমাধ্যমে উপস্থাপিত বর্তমান ঘটনাপ্রবাহের একগুচ্ছ নির্বাচিত তথ্যের সমষ্টি যা যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।

মানুষ সাংবাদিকতার অপব্যাবহার করে যেমন ভুল তথ্য টাকার বিনিময় সংবাদ প্রচার মিথ্যা সংবাদ প্রচার এমন কিছু কাজ পুরা সাংবাদিক পেশাটার উপর আঙ্গুল তোলে তাই আমাদের এই সব কাজ থেকে দুরে থাকা দরকার যারা সাংবাদিরক পেশার সাথে জরিতো তাদের ।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল সমূহ

No comments

কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য আমাদের জানান। এখানে আপনার মন্তব্য করুন

Powered by Blogger.