Header Ads

সৃষ্টিকুলের সর্বশেষ্ঠ মাহা মানব হযরত মুহাম্মদ (সা.) ।। ইসলামের বাংলা

 সৃষ্টিকুলের সর্বশেষ্ঠ মাহা মানব হযরত মুহাম্মদ (সা.) ।। ইসলামের বাংলা

সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ মানব যাবে সৃষ্টি না করলে আছমান, জমিন, লৗহ, কলম, পাহার, পরর্বত, জান্নাত, জাহান্নাম সৃষ্টিকুলের কিছুই সৃষ্টি হতো না তিনি হলেন শেষ নবী পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ রোল-মডেল আকায়নামদার তাজেদারী মদীনা হযরত মুহাম্মদ (সা.)। মাহান আল্লাহ কুরআনুল কারিমে এরশাদ করেন, হে মুমিনগন! জেনে রাখুন, আল্লাহ পাক সমস্ত মাখলুক সৃষ্টির পূর্বে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নূরকে সৃষ্টি করেন। এটা মাহান আল্লাহর নিকট তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের দলীল। মহান আল্লাহ তাকে নবীকুল শিরোমণি করে সত্য দ্বীনসহ বিশ্বমানবের নিকট সু-সংবাদ দাতা ও ভীতি প্রদর্শন করে পাঠিয়েছেন এবং নবী ও রাসূল আগমনের সিলসিলা তাঁর আগমন দ্বারা শেষ করে দিয়েছেন। আর তাঁকে যাবতীয় উন্নত চারিত্রিক গুনাবলির দ্বারা মহান চরিত্রের বিশেষিত করেছেন। সু-সুংবাদ ঐ ব্যক্তির জন্য যে আজীবন তার প্রদর্শিত আদের্শের অনুসরণ করেছেন। সু-সংবাদ ঐ ব্যক্তির জন্য যে আজীবন তার প্রদর্শিত আদের্শের অনুসরণ করেছে। আল্লাহ পাক বলেন- তোমাদের নিকট তাঁর নূর ও সুষ্পষ্ট কিতাব এসে গেছে। হয়রত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্নিত তিনি বলেন- হযরত রাসূলে কারীম (সা.) হযরত জিব্রাঈল (আ.) কে জিজ্ঞেস করেন- হে জিব্রাঈল! আপনার বয়স কত? তিনি উত্তরে বলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এ সম্পর্কে কিছু জানিনা। তবে এতটুকু বলতে পারি যে, চতুর্থ আসমানে একটি সিতারা আছে যা প্রতি ৭০ হাজার বছর পর সেখানে একবার উদিত হয়। আমি উহা এযাবত ৭২ হাজার বার উদিত হতে দেখেছি। এতদশ্রবনে রাসূল (সা.) বললেন, হে জিব্রাঈল! শপথ মহান আল্লাহর ইজ্জতের, আমি সেই সিতারা। (আওাশরীফাত ফিল খাসাইস ওয়াল মুজিজাত কিতাব হতে সিরাতে হালবিয়ায় সংকলিত)

হয়রত জাবির (রা.) হতে বর্নিত, তিনি বলেন- আমি আরজ করলাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার প্রতি কুরআন হোক, আপনি আমাকে অবহিত করুন ‘‘সর্বপ্রথম আল্লাহ পাক কোন বস্তু সৃষ্টি করেন? তিনি উত্তর দিলেন, হে জাবির! আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম তার (সৃষ্ট) নূর হতে তোমার নবীর নূর সৃষ্টি করেন। হযরত কা’ব আল আহবার (রা.) হতে বর্নিত, তিনি বলেন- নিশ্চয় হযরত আদম (আ.) এবং অন্যান্য সমস্ত সৃষ্টি বস্তু একমাত্র হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সৃষ্টির কারনে-ই সৃষ্টি করা হয়েছে। (বাইহাকী শরীফ) মারফু সূত্রে হাদীসে বর্নিত আছে, হযরত রাসূলে পাক (সা.) এরশাদ করেন- আমার নিকট হযরত জিব্রাঈল (আ.) এসে আরজ করলেন, ইয়া মুহাম্মদ! আল্লাহ পাক বলেছেন- আমি যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে বেহেশত সৃষ্টি করতামনা। আমি যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে দোযখ সৃষ্টি করতাম না। (দাইলামী শরীফ)

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) হতে বর্নিত, তিনি বলেন- হযরত আদম (আ.) কে সৃষ্টি করার দু’হাজার বছর পূর্বে কুরাইশ ছিল আল্লাহ পাকের সামনে নূর রূপে, তাঁর ঐ নূর তাছবীহ পাঠ করতে ছিলেন এবং ফেরেশতা মন্ডলীও তাঁর তাসবীহ দ্বারা তাসবীহ পাঠ করতে ছিলেন। অত:পর আল্লাহ পাক যখন হযরত আদম (আ.) কে সৃষ্টি করলেন তখন আল্লাহ পাক ঐ নূরকে হযরত আদম (আ.) এর পৃষ্ঠদেশে ঢেলে দেন, হুজুর (সা.) এরশাদ করেন, আল্লাহ পাক আমার নূরকে আদম (আ.) এর মাধ্যমে জমীনে পাঠিয়ে দেন। অত:পর সেই নূরকে আদম (আ.) হতে হযরত নূহ (আ.) এর পিঠে এবং হযরত নূহ (আ.) এর পীঠ হতে আল্লাহ পাক ঐ নূরকে হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর ঔরসে সোপর্দ করেন, এভাবে মহান আল্লাহ আমার নূরকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সম্মানিত ঔরসে ও পবিত্র সেকেমে রূপান্তরিত করেন, অবশেষে আমার পিতা মাতার ঔরসে ও গর্ভ হতে বের করেন, যারা কখনো কোন দিন কোন প্রকারের আশ্লীল কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিলেন না। (ছীরাতে হালবিয়া)

 মহা নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী সর্ম্পকে কিছু প্রশ্ন উত্তর

দরূদ শরীফের ফজিলত

হে মুমিনগন! মহান আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম বিনিময় দান করুন এবং পরকালে আপনাদের সুন্দর ঠিকানা প্রদান করুন। আপনারা রাসুল (সা.) এর সম্মানে বেশী বেশী করে দরূদ শরীফ পাঠ করুন। কেননা, দরূদ শরীফ বান্দার জন্য বিরাট উপকারী ইবাদত, অধিক ছওয়াব ও বরকতের কারন এবং বান্দার সম্মান ও ইজ্জত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অধিক সহায়ক। আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, নিশ্চয় মহান আল্লাহ তাঁর নবীর প্রতি তাঁর খাছ রহমত ও করুনা অবতীর্ন করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর সম্মানে ইস্তেগফার করেন। হে মুমিনগন! তোমরা নবীর সম্মানে সালাত ও সালাম পাঠ কর। ( অর্থাৎ বল- আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলিহী ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম)। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্নিত, তিনি বলেন- হযরত রাসূলে পাক (সা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করে, আল্লাহ পাক তাঁর প্রতি দশটি রহমত নাযিল করেন, তার দশটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হয় এবং তার জন্য দশটি মর্তবা বুলন্দ করা হয়। (নাসায়ী শরীফ)

হযরত ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্নিত, তিনি বলেন- হযরত রসূলে পাক (সা.) এরশাদ করেন, কিয়ামতের দিন আমার সংগী হওয়ার সবচেয়ে অধিক উপযুক্ত ঐ ব্যক্তি যে আমার প্রতি সবচেয়ে বেশী দরূদ পাঠ করে। (তিরমিজী শরীফ) উক্ত সাহবাী হতে বর্নিত তিনি বলেন- হযরত রাসূলে পাক (সা.) এরশাদ করেন, আল্লাহ পাকের মনোনীত কিছু সংখ্যক ফেরেশতা রয়েছেন যাঁরা জমীনের বুকে সফর করছেন। তাঁদের কাজ হলো উম্মতের দরূদ আমার নিকট পৌছে দেয়া। (নাসায়ী শরীফ) হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রা.) হতে বর্নিত, তিনি বলেন- নিশ্চয় বান্দার দোয়া-মুনাজাত আসমান ও জমীনেরর মাঝখানে ঝুলান থাকে, উহার কোনকিছু আল্লাহ পাকের নিকট পৌছেনা যতক্ষন না বন্দা তোমার নবীর প্রতি দরূদ পাঠ করবে। (তিরমিজী শরীফ)

হযরত আম্মার বিন ইয়াছার (রা.) হতে বর্নিত, তিনি বলেন- হযরত রাসূরে কারীম (সা.) এরশাদ করেন, আল্লাহ পাক আমার কবরের নিকটে একজন ফেরেশতা নিয়োজিত করে দিয়েছেন যাকে সমস্ত বান্দার সংখ্যানুপাতে কর্ন দান করেছেন। সুতারাং কিয়ামত পর্যন্ত যেই বান্দা আমার প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করবে উক্ত ফেরেশতা ঐ বান্দার নাম ও তার পিতার নাম ধরে আমার নিকট বলতে থাকবেন- ইয়া রাসূলল্লাহ! অমুকের পুত্র অমুক আপনার সম্মানে দরূদ পাঠ করেছেন। (বাজ্জার) হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্নিত, তিনি বলেন- হযরত রাসূলে পাক (সা.) এরশাদ করেন, আমার প্রতি দরূদ শরীফের আমল কাল কিয়ামতে পুলসিরাতের অন্ধকারে আলোর কাজ করবে। যে ব্যক্তি জুমআর দিন আমার প্রতি ৮০ বার দরূদ পাঠ করবে আল্লাহ পাক তার ৮০ বছরের (ছগীরা) গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। (দারুকুৎনী) হযরত আবু উমামা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- হযরত রাসূলে পাক (সা.) এরশাদ করেন, পুরুষের যে দল কোন মজলিস কায়েম করবে, অত:পর তারা মজলিসের কাজ শেষ করে আল্লাহ পাকের জিকর ও দরূদ পাঠ না করে সেখান থেকে উঠে পড়বে তাদের ঐ মজলিস তাদের জন্য দু:খ- কষ্টের কারন হবে। (তাবরানী) হযরত আলী (রা.) হতে বর্নিত, তিনি বলেন- হযরত রাসূলে পাক (সা.) এরশাদ করেন, কৃপণ ঐ ব্যক্তি যার নিকট আমার নাম উচ্চারিত হলো, কিন্তু সে আমার নাম শুনে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করলোনা। (তিরমিজী শরীফ) হযরত আনাস (রা.) হতে বর্নিত, তিনি বলেন- হযরত রাসূলে পাক (সা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি একদিনে আমার প্রতি এক হাজার বার দরূদ শরীফ পাঠ করবে সে দুনিয়ায় থাকতে তার বেহেশতের ঠিকানা না দেখে ইন্তেকাল করবে না। (দায়লামী) ‘‘সুবহানাআল্লাহ’’

2 comments:

কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য আমাদের জানান। এখানে আপনার মন্তব্য করুন

Powered by Blogger.