অনলাইন শপিং কি
অনলাইন শপিং কি
অনলাইন শপিং দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে
উঠচ্ছে মানুষ দিন দিন যুকে পরছে অনলাইন শপিংয়ের দিকে যেটা আগামী ১০ বছরে আরও বেড়ে
যাবে। শপিং এর কথা মনে পড়তেই চিন্তায় আসে অনলাইন শপিং। পশ্চিমা বিশ্বের সাথে তাল
মিলিয়ে বাংলাদেশর মানুষ ও এখন অনলাইন শপিং এ বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। কর্মজীবী থেকে
শুরু করে গৃহীনি সবাই এখন অনলাইনে কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন। গৃ্হস্থালী উপকরণ
থেকে শুরু করে পোশাক এমনকি গাছের চারা ও এখন অনলাইন থেকে কেনা যায়।
এক জরিপে দেখা গেছে বর্তমানে অনলাইনে
বছরে এক হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়। দৈনিক অনলাইনের অর্ডার ডেলিভারি দেওয়া
হয় বিশ হাজার। ওয়েব আর ফেসবুক ভিত্তিক অনলাইন শপ আছে এগারো হাজার। তারমধ্যে দশ
হাজারের বেশি হচ্ছে ফেসবুক ভিত্তিক এবং এক হাজার হচ্ছে ওয়েব ভিত্তিক অনলাইন শপ।
অনলাইন
শপিং এর ধরন
বাংলাদেশে অনলাইন শপিং- এর ধরন দুইটি ।
১। অনলাইন
শপঃ এটা এক ধরনের অনলাইন প্রতিষ্ঠান যেখানে পুরোটাই
অনলাইন শপ। পণ্যের দাম এবং ছবি তাদের অনলাইন শপ এ দেওয়া থাকে। ক্রেতারা তাদের
কাংখিত পণ্য অনলাইনে পছন্দ হলে নাম, ঠিকানা উল্লেখ করে অর্ডার করে থাকেন। এবং অনলাইন
শপ থেকে ক্রেতাদের নির্ধারিত ঠিকানায় তাদের কাংখিত পণ্য পৌঁছে দেওয়া হয়।
২। অনলাইন মার্কেটপ্লেসঃ এখানে ক্রেতা বিক্রেতা
সক্রিয় থাকার মাধ্যমে পণ্য ক্রয় – বিক্রিয় করে থাকেন। অনলাইনে বিজ্ঞাপনের
ভিত্তিতে আলোচনা হলে ও ক্রয় – বিক্রয় এবং লেনদেন উভয় পক্ষের উপস্থিতি তে
সম্পন্ন হয়। এক্ষেত্রে লেনদেন এর ব্যাপারে অনলাইন মার্কেটপ্লেস কোন দায় বহন করে
না।
আবার প্রকৃতির দিক থেকে বাংলাদেশে দুই
ধরনের অনলাইন শপ রয়েছে।
১।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্য কেনা বেচা করা।
২।
ফেইসবুকে পেইজ খুলে পণ্য ক্রয় – বিক্রয় করা।
অনলাইন
শপিং এ পণ্যের দাম এবং মানঃ
অনলাইন শপিং এ বরাবর ই পণ্যের দাম
তুলনামূলক ভাবে বেশী থাকে। অনেকে আবার পণ্যের মান নিয়ে ও প্রশ্ন তুলেছেন। যে ছবি
দেখে ক্রেতারা অনলাইনে অর্ডার দিয়ে থাকেন তার সাথে হাতে পাওয়া পণ্যের কোন মিল
খুঁজে পাওয়া যায় না। এতে ক্রেতাদের কাছে পণ্যের মান নিয়ে
প্রশ্নের সম্মুক্ষীন হতে হয়।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে অনেকে এখন অনলাইনে বাজার
করার দিকে ঝুঁকছেন, বিশেষ করে যাদের কম্প্যুটার বা স্মার্টফোন ব্যবহারের সুযোগ
আছে। কারণ অনলাইনে কেনাকাটায় ঘরের বাইরে বেরনোর প্রয়োজন নেই, অপরিচিত মানুষের
সাথে মেলামেশা বা ছোঁয়াছুঁয়ির আশঙ্কাও এড়ানো যায়।
অনেক
মানুষ অবশ্য অনলাইন বাজারে অনেকদিন থেকেই অভ্যস্ত। তাদের কাছে আমাজন, ইবে এগুলো
অতি পরিচিত নাম।
কিন্তু
অনলাইনে কেনাকাটার শুরু কীভাবে? কীভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠল অনলাইনে সওদাপাতি?
আমাজন
অনলাইনে ব্যবসা শুরু করেছে ৯০এর দশকের মাঝামাঝি, কিন্তু আমেরিকায় এমনকী ২০১০-এও
খুচরা ব্যবসার মাত্র ৬% কেনাকাটা হতো অনলাইনে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর মে মাসে
অনলাইনে যত মানুষ কেনাকাটা করতেন, এবছর মে মাসে তা ৩১% বেড়ে গেছে।
এবার
ব্রিটেনের হিসাব দেখা যাক- ২০০৬ সালে ইউকে-তে অনলাইনে বাজার করত ৩% মানুষ, ২০২০-র
গোড়ায় তা দাঁড়ায় ১৯% আর করোনা মহামারির পর এবছর এপ্রিলে তা লাফিয়ে বেড়েছে ৩০
শতাংশে।
মানুষের
ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে শুধু উন্নত বিশ্বেই নয় - ইন্টারনেট জনপ্রিয় ও সহজলভ্য
হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ফলে ইন্টারনেটে বাজারের চাহিদাও বাড়ছে দ্রুত ও
ব্যাপক মাত্রায়।
চীনে
ইন্টারনেটে ব্যবসার পরিমাণ আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির চেয়েও বেশি।
চীনে খুচরা ব্যবসার পাঁচভাগের একভাগই হয় অনলাইনে।
বিশ্লেষকরা
বলছেন যেসব দেশে অনলাইনে কেনাকাটার চল বেশি, সেসব দেশে ইন্টারনেটে খুচরা ব্যবসার
মোট পরিমাণ ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে যাচ্ছে বলে তাদের ধারণা।
দুদশক
আগেও অনলাইনে বাজার করা একটা নতুন চমকের ব্যাপার ছিল। এমনকী কোভিড-১৯ মানুষের মাঝে
তার থাবা বসানোর আগেও মানুষ ইন্টারনেটে বাজার করত কালেভদ্রে।
একটা
সময় লোকে ভাবত যেসব দুর্লভ জিনিস দোকানে সহজে মেলে না, শুধু ইবে-র মত সাইটেই
সেসবের সন্ধান পাওয়া যায়, সেগুলো কিনতে হলে অনলাইন বাজারের শরণাপন্ন হতে হবে।
তাহলে
অনলাইন শপিং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠল কীভাবে? আর এটাই কি কোভিড
পরবর্তী দুনিয়ায় আমাদের ভবিষ্যতের বাজার অভ্যাসে পরিণত হতে চলেছে? তার আগে একবার
ফিরে তাকানো যাক্ এর শুরুর ইতিহাসে।
শুরু হল কীভাবে?
বছরটা
ছিল ১৯৮৪। ইংল্যান্ডের ছোট এক শহর গেইটসহেডে ৭২ বছর বয়সী এক নারী জেন স্নোবল তার
আরামকেদারায় বসে টিভি দেখছিলেন। এর মধ্যেই তার হাতের রিমোট কন্ট্রোল ব্যবহার করে
তিনি অর্ডার দিলেন মাখন, কর্নফ্লেক্স আর ডিম।
মাইকেল
অলড্রিচ নামে ব্রিটিশ একজন আবিষ্কারক 'ভিডিওটেক্স' নামে একটি পদ্ধতি বের করেছিলেন।
ওই পদ্ধতি ব্যবহার করেই জেন টিভির মাধ্যমে খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন, বলছেন
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ব্যবসা বিষয়ক কলেজের খুচরা বিপণন বিষয়ের সহকারী
অধ্যাপক জনাথান রেনল্ডস্।
জেন
ভিডিওটেক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার টিভির পর্দায় একটা বাজারের ফর্দ তৈরি
করেছিলেন। তার পাড়ায় খাবারের একটি সুপারমার্কেটে ফোনের মাধ্যমে খবর পাঠানো
হয়েছিল জেন কী কী চাইছেন, তারপর অনেকটা ম্যাজিকের মত জিনিসগুলো পৌঁছে গিয়েছিল
জেনের বাসার দরজায়।
"বয়স্ক
এবং যাদের চলাফেরার অসুবিধা আছে তাদের সুবিধার কথা ভেবে প্রাথমিকভাবে এই প্রযুক্তি
উদ্ভাবন করেন মি. অলড্রিচ," বলছেন অধ্যাপক রেনল্ডস্।
"তখনও
সাধারণের ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়নি। সীমিত যে কম্পিউটার
নেটওয়ার্ক তখন ছিল তার উপর নির্ভর করেই এই প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছিল।"
মাইকেল
অলড্রিচের পরীক্ষায় জেন সহযোগিতা করেছিলেন। পরে জেনের টিভি সেটকে কম্পিউটার
টার্মিনালে রূপান্তর করে তার মাধ্যমে মি. অলড্রিচ সুপারমার্কেটে খবর পৌঁছে দেন।
মাইকেল
অলড্রিচ এবং জেন স্নোবল দুজনের কেউই তখন ভাবেননি তাদের ওই ছোট্ট প্রযুক্তির
পরীক্ষা ভবিষ্যতে ব্রিটেনে ১৮৬ বিলিয়ন ডলারের একটা শিল্পের কাঠামো তৈরি করবে।
জেনের
সেই খাবার কেনার পরীক্ষার পর বলা হয় অনলাইনে কেনাকাটা নিয়ে পরবর্তী বড় ধরনের
আবিষ্কার হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। সে বছর ড্যানিয়েল এম কোহন নামে ২১ বছরের একজন
কম্পিউটার উৎসাহী তরুণ 'নেটমার্কেট' নামে একটা অনলাইন বাজার গড়ে তোলে।
সেই
বাজারকে আখ্যা দেয়া হয় "সাইবার জগতে একটা শপিং মল গড়ে তোলার নতুন
উদ্যোগ" হিসাবে। শুধু তাই নয়, বলা হয় অনলাইনে বা কোন ডিজিটাল মাধ্যমে সেটাই
ছিল প্রথম নিরাপদ আর্থিক লেনদেন।
কী
বিক্রি করা হয়েছিল ওই বাজারে? স্টিং পপ গোষ্ঠীর একটি সিডি- দাম ছিল ১২.৪৮ ডলার।
এরপর
ধীরে ধীরে মানুষের ঘরে গিয়ে পৌঁছল ইন্টারনেট পরিষেবা। শুরুর সেই প্রথমদিকে
ইন্টারনেট সেবা বলতে ছিল ক্যাঁচকেঁচে ডায়াল করার শব্দ- সংযুক্ত হবার কঠিন চেষ্টা।
প্রথমদিকে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি বড় কোম্পানি ই-বাণিজ্যের ব্যাপারে উৎসাহী এবং
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল আর এখন বড় বড় সব করপোরেট প্রতিষ্ঠানই অনলাইনে হাজির।
গোড়ার
দিকে যারা অনলাইন ব্যবসায় আগ্রহী ছিল তাদের একটি ছিল পিৎসা হাট। ১৯৯৪ সালে
আমেরিকার এই পিৎসা ব্যবসার চেইন প্রতিষ্ঠান অনলাইনে পিৎসা বেচতো। তাদের সেসময়কার
অনলাইন পোর্টালের নাম ছিল 'পিৎসানেট'। আদ্যিকালের ধূসর ম্যাড়মেড়ে চেহারার
ওয়েবসাইটটা স্বভাবতই সেকেলে ছিল। সেখানে লেখার জায়গা ছিল দুটি- ক্রেতার ঠিকানা
আর ফোন নম্বর।
তবে
ওই ১৯৯৪ সালটাই ছিল অনলাইন শপিংয়ের জন্য যুগান্তকারী বছর। অনলাইনে কেনাকাটার
জয়যাত্রা শুরু হল সেসময় থেকেই। ওই বছরই বাজারে এল আমাজন। সেসময় আমাজন শুধু বই
বিক্রি করত।
পরের
বছর ১৯৯৫ সালে এল ইবে, জাপানে এল বৃহত্তম ই-বাণিজ্য সাইট রাকুতেন। পরের কয়েক বছর
রাকুতেন পশ্চিমা বাজারও দখল করে নিয়েছিল। জাপানে ব্যবসা শুরুর দুবছর পর রাকুতেন
পশ্চিমা বিশ্বে তাদের ব্যবসা প্রসারিত করে।
এরপর
১৯৯৯ সালে আসে চীনের আলিবাবা।
এই
কোম্পানিগুলোই অনলাইনে কেনাকাটার জগতের দরোজা খুলে দিল। তাদের হাত ধরেই এল অনলাইনে
নানাধরনের পণ্য কেনাকাটার সুযোগ, ক্রেতারা অনলাইনে পণ্য পছন্দের সুযোগ পেল, সঙ্গে
এল সৃজনশীল নানা প্রযুক্তি।
১৯৯০এর
মাঝামাঝি বিশ্বায়নের ঢেউও এই অনলাইন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বড় অনুঘটক হিসাবে কাজ
করেছে। "ই-বাণিজ্য একটা লাভজনক এবং ব্যবসাসফল বাজার চ্যানেল"-এর মডেলে
পরিণত হয়েছে, বলছেন নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্টার্ন বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক
থমাই সেরদারি। বৈশ্বিক যোগাযোগ সহজ হয়ে ওঠার কারণে এসব প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদনও
বাড়াতে শুরু করল এবং বিভিন্ন দেশের বাজার উপযোগী পণ্য মূল্যের কাঠামোও তৈরি করল।
"পণ্যের
গুণগত মান এবং দাম নিয়ে একটা বাজার প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হল, যেটা খদ্দেরদের
কাছেও গ্রহণযোগ্য হল। ইন্টারনেট সুবিধার দৌলতে কোন একটা পণ্য কেনার আগে সে বিষয়ে
খোঁজখবর নেয়া, এবং গবেষণার সুযোগও এল ক্রেতাদের জন্য। দাম আর মানের তুল্যমূল্য
হিসাব করার যে সুযোগটা খদ্দেরদের জন্য আগে ছিল না- ইন্টারনেট মানুষের হাতে সেই
নতুন অস্ত্র পৌঁছে দিল।"
প্রথমদিকের সফল দুটি অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
আমাজন আর ইবে আজও এই বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে আছে। মি. সেরদারি বলছেন অনলাইনে
কেনাকাটার সম্ভাবনা এই দুটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে দিলেও আসলে ক্রেতাদের কারণেই
অনলাইন শপিং-এর রমরমা ভবিষ্যত তৈরি হয়েছে।
"আসলে খদ্দেররাই এধরনের বাজারের সম্ভাবনাকে
লুফে নিয়েছে। তাদের কারণেই অনলাইনে কেনাকাটা একটা সম্ভাবনাময় ব্যবসা হয়ে
উঠেছে," তিনি বলছেন।
জনপ্রিয়তা বাড়ছে
অনলাইনে কেনাকাটা বলতে আমরা আজকে যেটা বুঝি,
সত্যিকার অর্থে তা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে ২০১৭ সাল নাগাদ।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য বলছে, ২০১৬-র শেষ
দিকে দেখা গেছে আমেরিকায় প্রতি দশজনের মধ্যে আটজন কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন
ব্যবহার করে সে বছর অনলাইনে কিছু না কিছু কিনেছে। ২০০০ সালে এটা ছিল মাত্র ২২%।
সারা পৃথিবীতে মানুষের হাতে স্মার্টফোন পৌঁছে
যায় ২০১৭ সাল নাগাদ। স্মার্টফোনের ব্যবহার ওই বছর প্রায় ৮০%এ পৌঁছলে অনলাইনে
কেনাকাটার হারও ব্যাপকহারে বাড়তে শুরু করে।
এখন ২০১৯ সালের তথ্যে দেখা যাচ্ছে আমেরিকায়
বিক্রিবাটার ১৬% হচ্ছে ই-বাণিজ্যের মাধ্যমে। ব্যয়ের হিসাবে সেটা ৬০১.৭৫ বিলিয়ন
ডলার।
শপিফাই নামে ই-বাণিজ্য বিষয়ক একটি সফটওয়্যার
কোম্পানি বলছে ২০১৯য়ে বিশ্বব্যাপী অনলাইন ব্যবসায় মানুষ ব্যয় করেছে ৩.৫
ট্রিলিয়ন ডলার। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে কীভাবে অনলাইন ব্যবসা বিস্তার লাভ করছে।
কিন্তু ২০২০তে অনলাইনে বাজার করার প্রয়োজনীয়তা
এর বিস্তারে বড় ভূমিকা রেখেছে। আমেরিকায় পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি
বিজনেস স্কুলের বিপণন বিষয়ক অধ্যাপক বারবারা কান বলছেন অনলাইন ব্যবসায় আগামী দুই
থেকে তিন বছর যে প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিক নিয়মে হতো, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এক
বছরেই তা হয়ে গেছে।
আলিবাবার চেয়ারম্যন জ্যাক মা তার কোম্পানিকে
খুচরা ব্যবসার বাইরে আরও অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন
এবং এবছর অনলাইনের বিক্রিতে এই বিশাল প্রবৃদ্ধির
পেছনে যেসব পণ্য রয়েছে সেগুলোই ছিল ১৯৮৪ সালে অনলাইনে প্রথম বিক্রি হওয়া জিনিস -
যেগুলো জেন স্নোবল অর্ডার করেছিলেন - অর্থাৎ খাবারদাবার।
আমেরিকায় এবছর মার্চ আর এপ্রিলের মধ্যে
অনলাইনের বিক্রি এক লাফে বেড়েছে ৪৯%। আর এর কারণ প্রতিদিনের খাবার জিনিসের
বিক্রিতে ১১০% বৃদ্ধি।
মিস কান বলছেন অনলাইন বিক্রির এই বিশাল
প্রবৃদ্ধির মূল কারণ মানুষ ইন্টারনেটে খাদ্যপণ্য কেনা বেশি পছন্দ করছে।
"এটা বেশ ইন্টারেস্টিং। কারণ কোভিডের আগে
অনলাইন শপিং মূলত দৈনন্দিন খাবার দাবারে কেন্দ্রীভূত ছিল না।"
তিনি বলছেন আগে মানুষ অনলাইনে কিনত বই, ইলেকট্রনিকের
জিনিস যেমন কম্পিউটার। কিন্তু কম্পিউটার তো মানুষ রোজ কেনে না। খাবার বা নিত্য
প্রয়োজনীয় জিনিস সবসময় কেনে।
চিরস্থায়ী ট্রেন্ড?
অনলাইনে কেনাকাটার ধরণ গত কয়েক বছরে অনেক
বদলেছে। শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় নয়, বিক্রেতারা নানা ধরনের পণ্য সম্ভার নিয়ে
এসেছে অনলাইনে, যা মানুষকে আকৃষ্ট করেছে এবং ইন্টারনেটে কেনাকাটায় উদ্বুদ্ধ
করেছে।
মিজ সেরদারি বলছেন, "প্রায় ৩০% ব্যবসা
অনলাইনে হচ্ছিলই, কিন্তু কোভিড-১৯এর পর অনলাইন ব্যবসা অনেকের জীবন ধারণের জন্য
অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।"
অনলাইনে ব্যবসা বাড়ার আর একটা কারণ মানুষ নিজের
ঘরে বসে, নিজের সময়ে, নিজের পছন্দের জিনিস কিনতে পারছে। বেশিরভাগ গ্রোসারি বা
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানগুলো অনলাইনে অর্ডার নিয়ে ঘরের দরজায় বাজার
পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছে।
এই সুবিধাটা অনেকেই লুফে নিয়েছেন। মানুষের এই
নতুন মানসিকতা, নতুন আচরণ ই-বাণিজ্যের হাত দিনকে দিন শক্ত করছে।
করোনাভাইরাসের কারণে অনলাইনে নিত্য প্রয়োজনীয়
জিনিসের কেনাকাটা বহু গুণ বেড়ে গেছে।
তবে অনলাইন শপিংয়ের এই রমরমা ট্রেন্ডের পরেও
ক্রেতারা তাদের খরচের ওপর সবসময়ই নজর রেখে চলবেন এটাই স্বাভাবিক।
অনলাইনে কেনাকাটার প্রবৃদ্ধি দীর্ঘমেয়াদে
একইরকম থাকবে কিনা সেটা দেখার বিষয়।
মানুষ যে ঘরে বসেই সবসময় বাজার করতে আগ্রহী হবে
এমনটাও হলফ করে বলা যাবে না।
দোকনে ঘুরে ঘুরে বাজার করাও অনেকের জন্য
আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। অনেকে যা কিনছেন তা হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখতে, নেড়েচেড়ে
দেখতে পছন্দ করেন।
সে অভিজ্ঞতা মানুষ পুরোপুরি বিসর্জন দিতে চাইবেন
এমনটাও ধরে নেয়া ঠিক হবে না।
মিস কান বলছেন আমাজনের ব্যবসায়িক মডেল হয়ত
মানুষের এই মনমানসিকতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে উপযোগী হতে পারে- অর্থাৎ অনলাইন
ব্যবসার পাশাপাশি আমাজনগো-র মত দোকানও চালু রাখা যেখানে গিয়ে জিনিস কেনার সুযোগও
মানুষের জন্য থাকবে।
অনলাইনে ব্যবসা যারা করেন, তারা ক্রেতাদের
মনমানসিকতার ওপরও নজর রাখেন।
কাজেই কোভিড পরবর্তী দুনিয়ায় মানুষ কীভাবে
দোকানবাজার করা পছন্দ করছেন তা খতিয়ে দেখেই তারা সম্ভবত তাদের ব্যবসাকে
সময়োপযোগী করে তুলবে বলে মিস কান মনে করছেন।
বাংলাদেশে অনলাইন
শপিং
বাংলাদেশে এখন
বছরে এক হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয় অনলাইনে৷ আর প্রতিদিন অনলাইনে ডেলিভারি দেয়া
হয় ২০ হাজার অর্ডার৷ দেশে ওয়েবভিত্তিক অনলাইন শপ আছে এক হাজার৷ ফেসবুক ভিত্তিক আছে
১০ হাজারেরও বেশি৷
বাংলা অনলাইনে আরো পরুনঃ
100 পলিথিন এমবসড গ্লাভসের প্যাক (বড় আকার)/Pack Of 100 Polyethylene Embossed Gloves (Large Size)
বাংলাদেশে
কর্মপদ্ধতির দিক থেকে অনলাইন শপিং-এর দু'ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে৷ এক ধরনের প্রতিষ্ঠান
হলো, যারা পুরোটাই অনলাইন শপ৷ অনণাইনেই তাদের পণ্যের নমুনা এবং দাম দেয়া থাকে৷ ক্রেতারা
অনলাইনেই পণ্য পছন্দ এবং অর্ডার করেন৷ ক্রেতাকে তাঁর বাসা বা ডেলিভারি পয়েন্টে পণ্য
পৌঁছে দেয়া হয়৷ আরেক ধরনের হলো অনলাইন মার্কেট প্লেস৷ এখানে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় সক্রিয়
থাকেন৷ কেউ পণ্য বিক্রির অফার করেন৷ আবার কেউ বা কিনতে চান৷ যোগাযোগটা অনলাইনের হলে
বেচা-কেনা হয় ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে৷ আর এই কেনা-বেচায় অনলাইন মার্কেট
প্লেসের কোনো দায় থাকে না৷ অনলাইন মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ
সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সভাপতি ফাহিম মাশরুর জানান, ‘‘আমাদের
হিসেবে এখন শুধু অনলাইন ওয়েবসাইটেই (ফেসবুক বাদে) প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার অর্ডার
প্রসেস হয়৷ বছরে টাকার হিসেবে আড়াইশ' থেকে তিনশ' কোটি টাকার লেনদেন হয়৷ আর অনলাইনে
এখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে সব ধরনের পণ্যই পওয়া যায় – পোশাক, ঘড়ি, টুপি সবকিছু৷
এখন অনলাইনে ই-টিকেট বিক্রিসহ আরো অনেক ধরনের সেবা দেয়া হয়৷ এমনকি স্বাস্থ্যসেবাও দেয়া
হয় অনলাইনে৷ ফেসবুক লাইভের মাধ্যমেও দেয়া হয় চিকিৎসা পরামর্শ৷'' যতই দিন যাচ্ছে ততই
বারছে অনলাইনের প্রতি মানুষের আকশন তাই শপিং দিনে দিনে হয়ে উঠচ্ছে জনপ্রিয়।
বাংলাদেশি
১০ টি অনলাইন শপিং সাইটের নাম নিচে দেওয়া হলোঃ
১। দারাজ
অনলাইন শপিং - Daraz.com.bd
দারাজ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন শপিং মল, যেখানে
আকর্ষণীয় বিভিন্ন ডিল এবং ডিসকাউন্ট অফার সহ ফ্যাশন সামগ্রী, মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক
এক্সেসরিজ এবং গৃহস্থালি সংক্রান্ত পণ্য সমূহ এখন একদম সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়। দারাজে
এখন ছেলেদের ফ্যাশন, মেয়েদের ফ্যাশন এবং শিশুদের ফ্যাশনে দ্রুত, নির্ভরযোগ্য এবং সুবিধাজনক
অনলাইন শপিং করা যায়।
অনলাইনে আস্থার সাথে অনলাইন শপিং এখন দারাজেই সম্ভব।
এখানে মোবাইল, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্য এখন সুলভ মূল্যে পাওয়া
যায়। দারাজ অনলাইন শপিং ১১ ১১ নামে
একটি অফার দারাজ বছরে একবার দিয়ে থাকে, যেখানে খুব কম মূল্যে ভালোমানের প্রোডাক্ট ক্রয়
করা সম্ভব হয়।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বরিশাল
সহ সারা দেশে ক্যাশ অন ডেলিভারির মাধ্যমে অনলাইন শপিং এর সেরা অভিজ্ঞতা অনলাইনে ঘরে
বসেই উপভোগ করতে পারবেন। বাংলাদেশে এখন দারাজ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি
সহ কাঙ্খিত অনলাইন শপিং করা যায়।
২। রকমারি অনলাইন শপিং - Rokomari.com
রকমারি হচ্ছে বই কেনাকাঠার সবচেয় বড় বাংলাদেশী অনলাইন
শপিং মল। এখানে আপনি গল্প, কবিতা ও ছোট গল্প থেকে শুরু করে প্রায় সকল ধরনের বই ঘরে
বসে ক্রয় করতে পারবেন। শুধুমাত্র তাই নয়, আপনি যদি একজন লেখক হয়ে থাকেন, তাহলে রকমারি
এর মাধ্যমে আপনার বই অনলাইনে বিক্রয় করতে পারবেন।
রকমারি থেকে আমি বেশ কয়েক বার বই কিনেছি। তাদের সার্ভিস
এবং সাপোর্ট দুটোই আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। প্রত্যেকবার বই অর্ডার করার ৫/৭ দিনের
মধ্যে বই হাতে পেয়েছে। তাছাড়া রকমারি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের অফার দিয়ে থাকে। এতেকরে
পছন্দের বইগুলো সুবিধামত সময়ে কম পয়সায় কিনে রাখা যায়।
৩। আজকের ডিল অনলাইন শপিং - Ajkerdeal.com
আজকেরডিল ডটকম বাংলাদেশের বৃহত্তম অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেস।
এই অনলাইন মার্কেটপ্লেসটি সেপ্টেম্বর, ২০১১ মাসে চালু করা হয়েছিল। সর্বশেষ আট বছরে
অজকেরডিল অনলাইনে কেনাকাটা করা বাংলাদেশি গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা
করে চলেছে এবং অনলাইন অনলাইন বিক্রয়কারী ও ক্রেতাদের জন্য এটি এখন বাংলাদেশের সর্বাধিক
বিখ্যাত অনলাইন শপিং পোর্টাল।
২০০০ এর বেশি লাইন ডিলাররা এই অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেসের
সাথে কাজ করছে। আপনি এই অনলাইন শপিং মল থেকে প্রায় সকল ধরনের পন্য ক্রয় ও বিক্রয় করতে
পারেন। আজকেরডিল থেকে আপনি বিকাশ, রকেট এবং বিভিন্ন ধরনের মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে
পেমেন্ট করতে পারবেন।
৪। ইভ্যালি অনলাইন শপিং - Evaly.com.bd
ইভ্যালি (evaly) বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় অনলাইন শপিং
মার্কেটপ্লেস। ইভ্যালি খুব অল্প সময়ে অনলাইনে তাদের জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছে। আপনি
যদি ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে কখনো না কখনো ফেসবুকে ইভ্যালি এর বিজ্ঞাপন দেখেছেন।
মূলত ফেসবুক মার্কেটিং এর
কারনে ইভ্যালি খুব অল্প দিনে অনলাইন শপিং মার্কেট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
এখানে আপনি ছেলে মেয়েদের জামা কাপড় থেকে শুরু করে প্রায়
সকল ধরনের কাপড়চোপড় ক্রয় করতে পারবেন। তাছাড়া এখানে কম্পিউটার, মোবাইল সহ সকল ধরনের
ডিজিটাল পন্য ক্রয় করতে পারবেন। এখানেও বিকাশের মাধ্যমে সহজ পেমেন্ট করা যায়।
৫। ফুড পান্ডা খাবার শপিং - Foodpanda.com.bd
ঘরে ঘরে খাবার পরিবেষক হিসেবে ফুডপান্ডা
(Foodpanda) এর প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে। স্মার্টফোন ব্যবহার করে অথচ ফুডপান্ডার নাম
শুনেনি এমন লোক খুব কম পাওয়া যাবে। Foodpanda বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা শহরে রয়েছে।
আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার হতে Foodpanda এর যেকোন খাবার অর্ডার করলে এক ঘন্টার মধ্যে
আপনার হাতে পেয়ে যাবেন।
Foodpanda অনলাইন শপিং মল থেকে আপনি সকল ধরনের খাবার
অর্ডার করতে পারবেন। ভাত, মাছ, মাংস এবং গ্রাম্য খাবার থেকে শুরু করে চাইনিজ ও থাই
খাবার ঘরে বসে মুহুর্তে অর্ডার করে খেতে পারবেন। তবে Foodpanda এখনো থানা পর্যায়ে তাদের
সার্ভিস চালু করেনি।
৬। পিকাবু অনলাইন শপিং - Pickaboo.com
পিকাবু অনেক পুরাতন একটি অনলাইন শপিং মল। পিকাবু ২০১৬
সাল থেকে আমাদের দেশের অনলাইন শপিং মল হিসেবে কাজ করে আসছে। প্রযুক্তি এবং গ্যাজেট
গিক্সের জন্য পিকাবু এর জনপ্রিয়তা বেশি। এখানে ইকেট্রিক পন্য থেকে শুরু করে যত ধরনের
ডিজিটাল গেজেট রয়েছে, তার প্রায় সবটাই পাওয়া যায়। প্রোডাক্ট ক্রয়ের ক্ষেত্রে তাদেরও
বিকাশ পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে।
৭। চাল-ডাল অনলাইন শপিং - Chaldal.com
চালডাল বাংলাদেশের সর্ব প্রথম অনলাইন ভিত্তিক গ্রোসারি
শপ। বর্তমান সমাজের ব্যস্তটায় ফাঁকে প্রত্যেকটি মানুষ তার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেন
ঘরে বসে অনয়াসেই কেনাকাটা করতে পারে এমন লক্ষ্য নিয়েই চালডাল এর যাত্রা শুরু। “সময়
বাঁচাও, খরচ বাঁচাও” এই স্লোগান নিয়েই চালডাল ঢাকাবাসীদের তাদের প্রাত্যহিক হয়রানি
থেকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টায় নিয়োজিত। যদিও আপাতত এই সেবাটি ঢাকা এর মাঝেই সীমাবদ্ধ,
তবে তারা বলছে অচিরেই সারা বাংলাদেশে তাদের এই সেবা ছড়িয়ে দেবে।
বিডিএসএইচপি
ডট কম ইন্টারনেটের জন্য "বিডিএসপি আইটি" এর একটি ই-কমার্স অ্যাডভেঞ্চার এবং
এটি কয়েকজন পেশাদার স্বপ্নচালিত দলের সদস্যদের সাথে কাজ করে। বিডি সপ চেষ্টা করে যে
সমস্ত জিনিস কিছুটা আলাদা তা কেবলমাত্র মূল স্টাফ বিক্রি করি এবং কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক্স,
ফ্যাশন পণ্য এবং গৃহস্থালীর আইটেমগুলি কে রাখে এবং বিডি সপ পণ্যগুলি সারা দেশে সরবরাহ করে।
বিডি
সপে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় আপনারা চাইলে বিডি সপে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
৯।
আমার দেশ ই-সপ – AMRA DESH E-SHOP
এটা
একটা সম্পূর্ন বাজার কেন্দ্র যেখানে তারা ই-কমার্স প্লাটফর্ম সৃষ্টি করেছে গ্রামীন
উৎপাদনকারীদের জন্য এতে করে গ্রামীন উৎপাদনকারীরা পৃথিবীর যে কোন জায়গায় তাদের পণ্য
বিক্রি করতে পারবে। এটা বাংলাদেশের প্রধান ই-কমার্স সমাধানকারী প্রতিষ্ঠান। অনলাইন
লেন-দেন শুরু ব্র্যাক ব্যাংক এর মাধ্যমে। তারা দেশ আমার গ্রাম প্রকল্প এফ এস বি লিঃ
দ্বারা ক্ষমতায়িত। একটা আটি সমাধান এর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যার বাংলাদেশ এবং লন্ডনে
৯ বছরের সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনায় রেকর্ড আছে। এর উদেশ্য একটি ডিজিটাল বাংলা কমিউনিটি
গঠন করা এই প্রকল্প ই-কমার্সের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এর উদ্দেশ্য
অর্জন করেছে এবং তারপর স্থানীয় সরকার স্কুল এবং ট্রেনিং উপয় ডিজিটাল তথ্যের মাধ্যমে
আরও সেবা এবং আয় বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। গ্রামীন উন্নয়নের জন্য আইসিটি এর আবেদন পত্রে
বিশেষ ভাবে নজর দেয়া হয়েছে। গ্রামীন উন্নয়ন বলতে বিশেষ করে বানিজ্য, স্বাস্থ্য, কৃষি,
মানবধিকার এবং গ্রামীন দক্ষতা এবং জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য জরীপ ও তথ্য বিশ্লেশন
করা হয়েছে। বেকার যুবক সমাজকে মানব সম্পদ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষনের
ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তরুনীরা আইসিটির ডাটা সংগ্রহ, ডাটা সংরক্ষন, বিশ্লেষন এবং স্টোক
হোল্ডারদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করছে, উদ্দেশ্য তাদের এই কাজকে ফলপ্রসু করা। আমার
দেশ আমার গ্রাম এর এই ধরনের উদ্যোগ যেখানে গ্রামীন মানুষের সাথে শহরের মানুষের অথবা
একের সাথে অন্যের আইসিটি ভিত্তিক যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমার দেশ আমার গ্রাম
প্লাটফর্ম এর ৯ টা ভিত্তি যেটা শুধুমাত্র ই-কমার্সের মাধ্যমেই কাজ করে না বরং আরও বিষয়
নিয়ে কাজ করে যেমন-সংস্কৃতি, ভ্রমন, সংবাদ এবং সরকারের সেবা, শিক্ষা ইত্যাদি আবার গ্রামীন
জনগনের সাথে শহরের জনগনের একটা যোগসূত্র তৈরী করেছে যেটা তারা স্বপ্নেও ভাবে নাই যেমন-২০০৩
সাল থেকে কমি উনিটিতে মাইক্রসফট প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে, মাইক্রসফট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সারা
দেশ ব্যাপী জনগনকে টেকনলজী দক্ষতা প্রশিক্ষন দিবে। প্রাফ ১০০০ অলাভজনজক প্রতিষ্ঠানের
সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা ২৭ মিলিয়নের বেশী লোকের কাছে পৌছোতে পেরেছি। মাইক্রসফট
অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদার হয়ে গ্রামীন জনগনের চাকুরী পাওয়ার ব্যাপারে সাহায্যের
জন্য তাদের জায়গায় বসে টেকনোলজী ব্যবহারের সুবিধা এবং প্রশিক্ষন দিয়ে থাকে।আমরা কেন
পিছনে পড়ে থাকব? মাইক্রসফট এর দেয়া এই সুবিধা আমরা কাজে লাগাবো। মাইক্রোসফট দেশব্যাপী
অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদার হয়ে যাদের চাকুরীর দরকার তাদেরকে একক ভাবে টেকনোলজী
প্রশিক্ষন দিবে। আমরা ৫ মিলিয়ন ক্যাশ থেকে ১০ মিলিয়নের ও বেশী ক্যাশ দিব তথ্য প্রযুক্তির
সফট্যাওয়ার এবং প্রশিক্ষন নীতমিালার জন্য। এই সাহায্য তাদেরকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন
দিবে যারা আজকের তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের যুগে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ না হওয়ায় চাকুরী
পাচ্ছে না
বাড়ির
মতো জায়গা নেই, তাই না? Iferi.com আপনাকে আপনার স্বপ্নের বাড়িটি সাজাতে সহায়তা করতে
ভালোবাসে।
তারা
তাদের যাত্রা শুরু করেছি ২০১১ সালে, বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন খুচরা বিক্রেতা হিসাবে
এখনকার চেয়ে অনেক বেশি পণ্য লাইন। অবশেষে আমরা কেবলমাত্র রান্নাঘর এবং ডাইনিং এবং
থাকার ব্যবস্থা এবং আলংকারিক আইটেমগুলি উত্স করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
No comments
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য আমাদের জানান। এখানে আপনার মন্তব্য করুন