আজানের সময় করনীয়।। বাংলা ডি অনলাইন।। Bangla D Online
আজানের সময় করনীয়।
আজানের সময় আজানের জবাব
দেওয়া এলাকাবাসী/মহল্লাবাসীদের প্রতি ওয়জিব। সুতারাং ঐ সময় তিলাওয়াতে কুরআন ও সালাম-কালাম
সবই নিষিদ্ধ। যদি কেহ ঐ সময় কুরআন শরীফ তিলাওয়াতে থাকে তাহলে তিলাওয়াত বন্ধ করে আজানের
জওয়াব দেয়া তার প্রতি ওয়াজিব হবে। কেহ আজানের সময় সালাম দিলে উত্তর দেয়া ওয়াজিব হবে
না। কেননা, এক ওয়াজিব তরক করে আরেক ওয়াজিব আদায় করা জরুরী নয়। মুয়াজ্জিন আজানে যা বলবে
তা দিয়েই শ্রোতা জওয়াব দিবে। কেবল ‘‘হাইয়া আলাচ্ছালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহ’’ এর সময়
বলবে ‘‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম’’ । আর ফজরের আজানে
‘‘আচ্ছালাতু খাইরুম্ মিনান নাওম’’ এর জওয়াবে বলবে ‘‘ছাদাকতা ও বারারতা ইয়া আইয়ুহাল
মুয়াজ্জিন। যদি কেহ আজানের মৌখিক জওয়াব না দেয় তাহলে তার জিম্মায় ওয়াজিব বাকী থাকবে,
আদায় না করলে গুনাহগার হবে।
অতএব, সাবধান। আজানের সময় যে সব মুসল্লী মসজিদে থাকে তাদের প্রতি আজানের জওয়াব দেয়া মুস্তাহাব। আজানের মোট বাক্য ১৫টি, ফজরের আজানে ১৭টি। যে ব্যক্তি একাধারে ১০ বছর আজান দিবে তার প্রতি দোযখের আগুন হারাম হয়ে যাবে। উল্লেখ্য যে, বিনা অজুতে আজান দেয়া জায়েয হলেও কারাহাত থেকে খালী নয়। এ কারাহাতে অভ্যস্ত হলে মুসীবতের সম্মুখীন হওয়ার পূর্ন দ্বারা পুনঃ আজান দোহরাতে হবে। আজানের সময় জওয়াব না দিয়ে যারা দুনিয়াবী কথাবার্তা বলে, হাদীসে তাদেরকে অত্যাচারী হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, দীনি ইলম শিক্ষা দেয়ার সময় আজানের জওয়াব দেওয়া মাকরূহে তাহরীমী। জুমআর ছানী আজানের জওয়াব দেয়া উপস্থিত মুসল্লী ও খতীবের প্রতি মুস্তাহাব। বিনা ওজরে জুমআর প্রথম আজান মসজিদের বাইরে দেয়া নিয়ম কিন্তু ছানী আজান খতীবের সামনে দেয়াই নিয়ম। এ নিয়মই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এ নিয়মের বিরোধীতা করা শরীয়াত কর্তৃক নিষিদ্ধ। আজানের পর দোয়ায়ে ওয়াসীলা পাঠ করা সুন্নাত এবং পাঠ করার সময় হাত উঠানো মুস্তাহাব।
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট
ReplyDelete