ভারতবর্ষে
২০০ বছর পূর্বে নিচু জাতের নারীদের তাদের স্তন ডাকার জন্য দিতে হতো স্তন কর বা মুলাক্করম
যেটাকে স্তন ট্যাক্স ও বলা যেতে পারে। অবিশ্বাস্য হলেও এই ঘটনা সত্য যে, ভারতবর্ষে
বিভিন্ন রাজা নিচু জাতের লোকদের শোষন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স বা কর নির্ধারন
করত, যে গুলো ছিলো অযুক্তিক অগ্রহনযোগ্য। তার-ই একটি অযুক্তিক অগ্রহনযোগ্য ট্যাক্স
বা কর হলো স্তন কর। প্রায় ২০০ বছর পূর্বে এ প্রথা ভারবর্ষের কিছু অঞ্চলে চালু ছিলো।
নিচু জাতের মহিলারা বা নারীরা তাদের স্তন জনসম্মুখে ডাকতে পারবে না তাদের স্তন জনসম্মুখে
খোলা রাখতে হবে আর কোন মহিলা যদি তা ডেকে রাখতে চায় তাহলে তাকে দিতে হবে মোটা অংকের
কর বা ট্যাক্স যা নির্ধারন করা হতো তার স্তনর আকার ও অজোন বেদে যার স্তনের আকার যতটুকু
বা অজন যতটুকু তাকে তার সমপরিমান কর বা ট্যাক্স দিতে হবে। তখনকার রাজারা বলত এটা হলো
তাদের সম্মানের জন্য তাদের সম্মানের স্বার্থে নারীদের তাদের সামনে ও জনসম্মুখে স্তন
খোলা রাখতে হবে। নারীরা তাদের স্তন ডাকতে পারবে না। কেও স্তন ডাকলে রাজারা মনে করতো
তাদের অপমান করা হচ্ছে। তাই তারা তাদের রাজ্যের নারীদের স্তন জনসম্মুখে খোলা রাখার
আদেশ দেয়।
নাঙেলি ঘটনা:
নাঙেলি
ও চিরুকন্দন হিলো একটি দাম্পত্তি যারা ঐ সময় কোন রাজার রাজ্যে বসবাস করত। তারা ছিল
নি:সন্তান তাদের কোন ছেলে-মেয়ে ছিল না। নাঙেলি এর প্রতিবাদ করতে চাইলেন তিনি তার বক্ষ
ডেকে বা তার স্তন ডেকে রাখা শুরু করলেন। তখর তা রাজার কর আদায়কারীর নজরে আসলো সে তাকে
স্তন ডেকে রখতে বাদা দিলেন। নাঙেলি তার বাদা উপেক্ষা করে তার স্তন ডেকে রাখলেন। তারপর
সে খবর রাজার কানে গেলে রাজা তার বাড়ীতে আসলেন এবং তাদের কাছে বলল যদি স্তন ডেকে রাখতে
হয় তাহলে তাকে মুলাক্করাম বা স্তন কর পরিষোদ করতে হবে। রাজা বলে গেলেন সে এক মাস পরে
আসবে মুলাক্করাম আদায় করার জন্য। এমনি ভাবে এক মাস পার হয়ে যাওয়ার পর রাজা নাঙেলির
বাড়ীতে আসলো তার দল-বল দিয়ে স্তন কর বা ট্যাক্স আদায় করার জন্য। রাজা এসে কর চাইলো
এবং নাঙেলি কে তার স্তন প্রদশন করতে বলল। এবং রাজা তা তার হাত দিয়ে মাপ দিলো। তারপর
সে নাঙেলির কাছে কর চাইলো। নাঙেলি তাকে বসতে বলে ঘরের বিতরে চলে গেলো এবং সে ঘরের বিতরে
বসে দারালো কাচি ধারা তার স্তন কেটে কলাপায় করে এনে রাজার সামনে দিলো। তখন নাঙেলি বলল
যদি স্তন-ই না থাকে তাহলে কর নিবি কিসের। তা দেখে রাজা ও তার দল-বল ভয়তে পালিয়ে গেলো
সেখান থেকে। তারপর অধিক পরিমানে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার কারনে নাঙেলি তার কিছুখনের মধ্যে-ই
মারা যায়। তারপর নাংগিলির শেষকার্য্য করার সময় তার স্বামী চিরুকন্দন তার শোক সইতে না
পেরে তার চিতায় লাফ দিয়ে তার প্রানও বিপন্ন করে দেন। এটাই ছিলো ভারতবর্ষের ইতিহাসে
সর্বপ্রথম কোন স্বামী তার স্ত্রীর সাথে তার চিতায় লাফ দিয়ে মরে যাওয়া বা পুরুষ সতিদার
ঘটনা । এই ঘটনা পুরা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পরলে সব জায়গায় বিদ্রোহ শুরু হয় জনগনের বিদ্রোহের
মুখে পরে রাজারা বাধ্য হয় এই প্রথা বা এই কর বন্ধ করতে। তারপর থেকে স্তন কর বন্ধ ঘোষনা
করা হয়। তাই ভারবর্ষের ইতিহাসে প্রতিবাদী নারী হিসাবে নাঙেলির নাম চির স্বরনীয় হয়ে
আছে।
No comments
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য আমাদের জানান। এখানে আপনার মন্তব্য করুন