হাতাশার বয়স।। বাংলা ডি অনলাইন
হাতাশার বয়স।। বাংলা ডি
অনলাইন
বয়সের সাথে সাথে বেড়ে যায়
দায়িত্ব। আর এক সময় এই দায়িত্বের বোজা বহন করতে করতে মানুষ চলে যায় এই পৃথীবি থেকে
। একবার ভেবে দেখুন তো আমরা যখন ছোট ছিলাম আমাদের জীবনটা কতো-ই না সুন্দর ছিলো । যখন
স্কুলে যাওয়ার বয়স হলো তখন থেকে-ই শুরু হলো দায়িত্বের চাপ। তারপর যখন স্কুল জীবন পার
করে কলেজ জীবনে ডুকলাম তখন দায়িত্ব আর চাপটা আর একটু বেড়ে গেলো। তারপর জখন বিশ্ববিদ্যালয়
চলে গেলাম তখন দায়িত্ব আরও বেড়ে গেলো আর সাথে সাথে বেড়ে গেলো চাপ। যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের
ছেলে-মেয়ে আছে তাদের তো বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার আগেই খোজতে হয় চাকুরী বা ইনকামের কোন
পথ না হয় খাবে কি ভাবে, চলবে কি ভাবে, পড়বে কি ভাবে, নানা প্রশ্ন আর হতাশা বাসা বাদতে
থাকে মনে একটু ভাল মতো চলতে হলে কিছু তো একটা করতে হবে। না হয় ভাল ভাবে চলা যাবে না
সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলা যাবেনা বাসা থেকে এতো টাকা দিতে পারবে না এ রকম হাজার হাজার
কারন থাকে যে গুলোর মাধ্যমে জন্ম নেয় হতাশা। মধ্যবিত্তদের জীবন জুরেই থাকে শুধু হতাশা।
তারা বুঝতেই পারে না কখন কি করা দরকার আর কি করবে না। মনে আবার প্রশ্ন জাগে লোকে কি
বলবে? লোকে কি বলবে এটা একটা কমন বিধি বা অসুখ বাংলাদেশের জন্য । অনেক যুবক-ই চায় কিছু
একটা করতে কিন্তু তার এই একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে আর কিছু করতেও পারে না আর আগাতেও
পারেনা । এই লোকের কথা চিন্তা করতে করতে-ই অনেক যুককের পার করতে হয় বেকার জীবন। তারপরের
জীবনটায় নেমে আসে আরও বেশি কষ্ট হতাশা যেটা তারা কাওকে বলতেও পারে না বুঝাতেও পারেনা।
অনেক যুবক-যুবতী এই সব হতাশার কারনে বেছে নিয়েছে নেশার মতো বেদি যা কি না মানুষকে শেষ
করে দেয় ধংসের দিকে ঠেলে দেয়। আবার অনেকে দিয়েছে জীবন শেষ করে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত
নিতে বাধ্য হয়েছে। হতাশা খুব খারপ একটা বেদি আমাদের সমাজের জন্য যেটা মানুষকে কুরে
কুরে খায়। আর এই হতাশায় বেশি ভোগে আমাদের সমাজের তরুন সমাজ ও যুবক সমাজ যারা কি না
আগামী দিনের ভবিষ্যত। ১৮থেকে ২৮ বছর মনে হয় যেন হতাশা কাটেই না জীবন থেকে মনে হয় যেন
হতাশা জরীয়ে আছে জীবনের সাথে । কি করবো, কি খাবো, কি পরবো, কি করা উচিৎ, তা বুঝে উঠা
বড়ো দায় । তাই হতাশার সাগর যে দিকে তাকায় সে দিকেই শুধু হতাশার সাগর । তাই হতাশাকে
কাটাতে হবে নিজেকেই, কেও আসবে না তোমার হতাশা কাটাতে, যা করার নিজেকে-ই করতে হবে, যা
ভাবার নিজেকে-ই ভাবতে হবে, কেও আসবে না ভেবে দেওয়ার জন্য সবাই শুধু তোমাকে জ্ঞান দিবে
মনে হবে এ যেন বিদ্যার সাগর। তাই পরের কথায় কান না দিয়ে নিজের জন্য নিজে ভাবো। দেখবে
রাস্তা বের হবে। সফলতা আসবেই, কেও আটকাতে পারবে না । প্রথম কাজ হলো নিজের লক্ষ্য নির্ধারন
করতে হবে, লক্ষ নির্ধারন না করা গেলে আগাণো যাবে না। তাই নিজের লক্ষটাকে আগে ঠিক করো
কি হতে চাও তুমি? কি করতে চাও তুমি? কি করার ইচ্ছা তোমার? নিজের কাছে নিজেই প্রশ্ন
করো এবং তোমার লক্ষ বের করো দেখবে সব হতাশা কেটে যাবে। অন্ধকারের আধার কেটে যাবে নতুন
দিঘন্তে সূর্য উকি দিবে। তাই নিজের লক্ষ নির্ধারন করা খুবই গুরুত্বপূর্ন কাজ। যে যতো
তারাতারি তার লক্ষ নির্ধারন করতে পেরেছে সে ততো তারাতারি তার সফলতা পেয়েছে কিন্তু বড়
আফসোসের বিষয় হলো আমাদের লক্ষ নির্ধারন করতে-ই অনেক বেমি সময় লেগে যায়। আবার দেখা যায়
আমরা যেটা হতে চাই সেটা না হয়ে সময়ের পরিবর্তনে আমরা অন্য কিছু হয়ে গেছি যেটার মাধ্যমেও
আমাদের হতাশায় ভুগতে হয়। তাই সঠিক লক্ষ নির্ধারন করে সঠিক লক্ষে আগানোই বুদ্ধিমানের
কাজ তাহলেই সকল হতাশা কেটে যাবে । লক্ষ নির্ধারনের ক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রেখো তোমার
নেশাই যদি তোমার পেশা হতে পারে তাহলে তুমি অনেক বেশি সফলতা অর্জন করতে পারবে। যেটা
তোমার করতে সব থেকে বেশি ভাল লাগে সেটাকেই যদি তুমি তোমার পেশা হিসাবে নিতে পারো তাহলে তুমি সেটা আরও
বেশি ভাল করতে পারবে। কারন তোমার কখন-ই ক্লান্ত মনে হবে না তোমার নিজেকে কারন ঐ কাজটা
তো তোমার করতে ভাল লাগে যতো করবে ততো-ই ভাল লাগবে। আশা করি সকলের হতাশা কেটে আলোর সন্ধান
আসবে । লক্ষ নির্ধারন হবে, সফলতা আসবে। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন এই আশাবাদ ব্যক্ত
করে আজ বিদায় নিচ্ছি। আবরও কথা হবে, আলোচনা হবে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।
অবশ্যই কমেন্টে যানাবেন
আপনার মতামত, আপনার হতাশার কারন?
No comments
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য আমাদের জানান। এখানে আপনার মন্তব্য করুন