ধূমপায়ী ।। বাংলা ডি অনলাইন
যিনি ধূমপান করেন, তিনিই ধূমপায়ী। সিগারেটে ৫৭টি মারাত্মক রাসায়নিক উপাদানের সন্ধান পাওয়া গেছে যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তেমনি একটি হলো নিকোটিন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে দুটি সিগারেট এ যে পরিমান নিকোটিন আছে তা যদি একটি সুস্থ মানুষ এর দেহে ইঞ্জেক্ট করে দেয় তাহলে সে মানুষটি তখনি মারা যাবে।
সিগারেট ঠোঁটে লাগার ফলে ধীরে ধীরে ঠোঁট কালচে আকার ধারণ করে। ফলে মুখের সৌন্দর্য অনেকাংশেই নষ্ট হয়ে যায়। ঠোঁটের এই কালচে দাগ দুর করার জন্য অনেক সামগ্রী পাওয়া যায়। কেউ কেউ টুথপেষ্ট ব্যবহার করে থাকে।
ধূমপান রোগ ও অক্ষমতার দিকে নিয়ে যায় এবং শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গের ক্ষতি করে।
16 মিলিয়নেরও বেশি আমেরিকান ধূমপানের কারণে সৃষ্ট রোগের সাথে বসবাস করছে। ধূমপানের কারণে মারা যাওয়া প্রতিটি ব্যক্তির জন্য, কমপক্ষে 30 জন মানুষ ধূমপানজনিত গুরুতর অসুস্থতার সাথে বেঁচে থাকে। ধূমপানের কারণে ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের রোগ, ডায়াবেটিস এবং ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি), যার মধ্যে রয়েছে এমফিসেমা এবং ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস। ধূমপান যক্ষ্মা, চোখের কিছু রোগ এবং বাতজনিত আর্থ্রাইটিস সহ ইমিউন সিস্টেমের সমস্যাগুলির ঝুঁকি বাড়ায়।
সেকেন্ডহ্যান্ড স্মোক এক্সপোজার প্রতি বছর ধূমপান না করা প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রায় 41,000 এবং শিশুর মধ্যে 400 জন মৃত্যুর জন্য অবদান রাখে। সেকেন্ডহ্যান্ড স্মোক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে স্ট্রোক, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং করোনারি হৃদরোগের কারণ হয়। যেসব শিশু সেকেন্ডহ্যান্ড স্মোকের সংস্পর্শে আসে তাদের আকস্মিক শিশু মৃত্যুর সিন্ড্রোম, তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, মধ্য কানের রোগ, আরও গুরুতর হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের লক্ষণ এবং ফুসফুসের বৃদ্ধি ধীর হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
বাংলাদেশে প্রচলিত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ এর ৪ ধারা অনুযায়ী প্রকাশ্যে ধূমপানের ফলে জরিমানা হিসেবে প্রথমবার অনধিক ৳৩০০ (তিন শত) টাকা এবং দ্বিতীয় বা পরবর্তী প্রতিবারের জন্য দ্বিগুন টাকা দিতে হয়। এছাড়া ১০ধারা অনুযায়ী সিগারেট, বিড়ি ইত্যাদি তামাকজাতীয় দ্রব্যের মোড়কে 'ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর' কিংবা 'ধূমপান হৃদরোগের কারণ' লেখা বাধ্যতামূলক।
সিগারেট একটি পণ্য যা ধূমপানের জন্য গ্রহণ করা হয়। তামাক পাতা সুন্দর করে কেটে পরিশোধন করার পর তার সাথে আনুষঙ্গিক কয়েকটি উপাদান মিশিয়ে কাগজে মোড়ানো সিলিন্ডারের ভিতর পুড়ে সিগারেট তৈরি করা হয়। একটি প্রতিরূপ সিগারেটের সিলিন্ডারের দৈর্ঘ্য ১২০ মিলিমিটার এবং ব্যাস ১০ মিলিমিটার। সিগারেটের এক প্রান্তে আগুন জ্বালিয়ে অন্য প্রান্তে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হয়। যে প্রান্তে মুখ দিতে হয় সে প্রান্তে সচরাচর বিশেষ ফিল্টার থাকে। সিগারেট হোল্ডার দিয়েও অনেকে ধূমপান করে থাকেন। সিগারেট বলতে সাধারণত তামাকের তৈরি সিগারেট বোঝানো হলেও বিশেষভাবে এটি যেকোন ধরনের উপাদানকে নির্দেশ করে। যেমন, গাঁজা দিয়েও সিগারেট তৈরি হতে পারে।
বাংলাদেশি প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় বাংলাদেশের
৪০ শতাংশ পুরুষই ধূমপায়ী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক জরিপের ধূমপান নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক। যেখানে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশে শতকরা ৪০ জন পুরুষ ধূমপান করেন। এছাড়া এশিয়া মহাদেশের মধ্যে পুরুষ ধূমপায়ীর শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১১তম বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
তবে এশিয়ায় ধূমপানের শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির ৭৬ শতাংশ মানুষ ধূমপান করেন। নেপালে ৩৭ শতাংশ, শ্রীলংকায় ২৮, ভারতে ২০ এবং পাকিস্তানে ৪২ শতাংশ পুরুষ ধূমপানে আসক্ত। এএনএন বলছে, ধূমপায়ীর সংখ্যার হিসাবে এশিয়ায় পাকিস্তানের অবস্থান নবম, নেপালের ১২তম এবং ভারত ১৭তম।
ধূমপায়ীর আচতে আচতে মাদকের দিকে দাবীত হয় তাই ধুমপান
থেকে সরে আসা উচিৎ এখন প্রায়ী দেখা যাচ্ছে তরুন বয়সী ছেলে মেয়েরা মাদকের দিকে দাবীত
হচ্ছে তাদের সেই শুরুটা হয় ধুমপান থেকে বন্ধু-বান্ধব এর সাথে এর শুরুটা ঘটে । প্রথম
অবস্থায় কৌতহল বসত বন্ধু-বান্ধবের সাথে শুরু হয় তারপর আসতে আসতে প্রতিদিনের রুটিনে
প্ররিনত নয় । এভাবেই আচেতে আচতে মানুষ মাদকের দিকে দাবিত হয় তাই ধূমপান পরিহার করা
একান্ত জরুরী।
No comments
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য আমাদের জানান। এখানে আপনার মন্তব্য করুন