তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (Information & Communication Technology)
তথ্য প্রযুক্তি (Information Technology)
তথ্য
প্রযুক্তি শব্দ দুটি একসাথে ব্যবহৃত হলেও এদের আভিধানিক ও প্রায়োগিক অর্থে বেশ পার্থক্য
বিদ্যমান। ইনফরমেশন বা তথ্য হলো সুশৃঙ্খলভবে সাজানো ডেটা বা সহজবোধ্য, অর্থবহ, কার্যকর
ও ব্যবহারযোগ্য। আর প্রযুক্তি হলো আধুনিক জীবনযাত্রায় ইলেট্রনিক্স যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে
এমন একটি মিশ্র পদ্ধতি যার মাধ্যমে জীবনযাত্রা পূর্বের তুলনায় আরও সহজ হয়ে উঠে। তথ্য
শব্দটির ইংরেজী পরিভাষা হলো Information। ইংরেজি ইনজরমেশন শব্দটি ল্যাটিন শব্দমূল Information
থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এ শব্দটির ক্রিয়ামূল Informate; যার অর্থ কাউকে কোন কিছু অবগত
করা, পথ দেখানো, আদান-প্রদান ইত্যাদি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভাষায়- কোন বিশেষ
উদ্দেশ্যে কম্পিউটারে ডেটা প্রক্রিয়াকরণের ফলে প্রাপ্ত ফলাফলকে তথ্য বা ইনফরমেশন বলে।
ইনফরমেশন নির্ভুল, স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত ও প্রয়োজনীয় হওয়া আবশ্যক। তথ্য আহরন, সংরক্ষণ,
প্রক্রিয়াকরণ ও বিতরণের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাকে তথ্য প্রযুক্তি (Information
Technology) বলা হয়। সংক্ষেপে এ প্রযুক্তিকে আইটি বলা হয়। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তির
সাথে মিলেমিশে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ ঘটলেও এতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে কম্পিউটার।
পাশাপাশি ইন্টারনেট প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে সমগ্র বিশ্বটিই এখন এক বিশাল তথ্য ভান্ডারে
পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন মানুষের জীবনে নতুন নতুন তথ্যের সমাবেশ ঘটছে। ফলে তথ্যের পরিমাণ
দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় সময়ে উপযুক্ত তথ্য পাওয়ার গুরুত্বও বেড়ে যাচ্ছে। কারণ মানুষের
নিজের পক্ষে সব তথ্য মনে রাখা বা হাতের কাছে পাওয়া সম্ভব হয় না। আর এ জন্য প্রয়োজন
উপযুক্ত প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে মানুষ সহজে ও দ্রুততম সময়ে তথ্য পেতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির
উন্নয়নের ফলে একটি ছোট কম্পিউটার বা টার্মিনালের মাধ্যমে দূরের কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ
করা যায়। ফলে খুব সহজে দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব।
যোগাযোগ প্রযুক্তি (Communication
Technology)
যে
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডেটা বা ইনফরমেশন এক স্থান (উৎস) হতে অন্য স্থানে (গন্তব্যে) স্থানান্তরিত
হয় তাকে কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ বলে। কোনো ডেটাকে এক স্থান হতে অন্য স্থানে অথবা এক
ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে স্থানান্তর অথবা কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তরের
প্রক্রিয়াকেই ডেটা কমিউনিকেশন বলে। আর ডেটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে
যোগাযোগ প্রযুক্তি বা কমিউনিকেশন টেকনোলজি বলা হয়। বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত যোগাযোগ প্রযুক্তি
মধ্যে রেডিও, টিভি, মোবাইল ফোন, টেলিফোন, ফ্যাক্স, কম্পিউটার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
ইন্টারনেটযুক্ত মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটার, স্কাইপি,
ইমো, ভাইবার ইত্যাদি ব্যবস্থা যোগাযোগকে আরও সহজ, আনন্দময়, গতিশীল, সাশ্রয়ী ও প্রাণবন্ত
করেছে।
No comments
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য আমাদের জানান। এখানে আপনার মন্তব্য করুন