Personal Branding বা ব্যক্তিগত ব্রান্ডিং কি?
Personal Branding বা
ব্যক্তিগত
ব্রান্ডিং কি? এটা দিয়ে কি করে খায় না মাথায় দেয় তা নিয়ে কথা বলব আমরা আজকে ।
ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং হল একজন ব্যক্তির সে নিজেকে জনসাধারণের কাছে উপস্থাপনা
করার জন্য যে পদ্ধতি গুলো ব্যাবহার করে থাকে তাকে ব্যাক্তিগত ব্রান্ডিং বা Personal Branding বলে।
সেটা হতে পারে অনলাইনে বা অফলাইনে বর্তমানে ব্যক্তিগত ব্রান্ডিং এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া খুব বেশি জনপ্রিয়।
Personal Branding মানুষের
কর্মজীবনকে এগিয়ে নিতে এটি বড় ধরনের ভূমিকা পালন
করে থাকে। তাই যে ব্যক্তি যেই কাজের উপর অভিজ্ঞ তার নিজেকে সেই কাজের উপরে পোমট করা
উচিৎ বা ব্যাক্তিগত ব্রান্ডিং করা উচিৎ তাতে করে সে তার কর্মজীবনে অনেক বেশি এগিয়ে
যেতে পারে।
Personal Branding এর
মাধ্যমে ঐ ব্যাক্তি তার কাজের জন্য মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠে। তার কর্মদক্ষতা
সম্পর্কে মানুষ জানতে পারে তাতে করে তার জীবনে সফল হওয়ার সম্ভনা অনেক গুন বেড়ে যায়।
ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং এর মাধ্যমে নিজের স্বতন্ত্রতা খুঁজে বের করা, আপনি যে জিনিসগুলির জন্য পরিচিত হতে চান সেগুলির একটি খ্যাতি তৈরি করা এবং নিজেকে সেগুলির জন্য পরিচিত করানো এমন কিছু তৈরি করা যা একটি বার্তা দেয় মানুষের কাছে আপনার সম্পর্কে।
ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং শব্দটি 1997 সালে টম পিটার্সের লেখা একটি নিবন্ধ থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে মনে করা হয়। একটি ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড হল একজন ব্যক্তির অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, কর্ম এবং প্রাপ্তির উপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায়, শিল্প বা বৃহৎ বাজারের মধ্যে একটি অভিন্ন উপলব্ধি তৈরী করাকে বুঝায়।
আপনি যে ভাবে নিজে কে উপস্থাপন করছেন তার মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিগত
ব্রান্ডিং হচ্ছে। বর্তমানে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেকে উপস্থাপন করি আর এই
উপস্থাপন-ই আমাদের নিজ নিজ ব্যক্তিগত ব্রান্ডিং এখানে আমরা আমাদের নিজেদের সম্পর্কে
লেখি, নিজেদি ভালো লাগা গুলো বলি এবং আমাদের কাজের দক্ষতা গুলোকেও শেয়ার করি।
বর্তমানে মানুষ তার কাজের দক্ষতা গুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরে তাতে করে
তার পরিচিত ব্যক্তিরা তার দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারে এবং তার পরিচিত কারো যদি তার
মতো একজন দক্ষ লোক প্রয়োজন হয় তা হলে খুব সহজেই তার কাছে যেতে পারে বা তার সাথে যোগাযোগ
করতে পারে এটাই তার ব্যাক্তিগত ব্রান্ডিং।
আমি যদি আপনাকে আরও সহজ করে বলি তাহলে এভাবে বলতে পারি ধরুন
আমার একটা বিমানের টিকিট দরকার। তাহরে আমি কার কাছে যাবো? নিশ্চই কোন ট্রাভেল এজেন্সিতে
তাই না? অবশ্যই তাই, তবে আমি তার আগে খুজব আমার পরিচিত কোন ট্রাভেল এজেন্সি আছে কি
না, আর আমি সোশ্যাল মিডিয়ার
মাধ্যমে জানতে পারলাম আমার বন্ধুর-ই একটা ট্রাভেল এজেন্সি আছে সে কিছু দিন আগেই তার
ব্যবসা শুরু করেছে। তখন আমি কি করবো আমার বন্ধুর কাছেই যাবো কারন মানুষ তার পরিচিত
মানুষের কাছে যেতে ভালোবাসে। এইটাই হলো ব্যাক্তিগত ব্রান্ডিং। আমার বন্ধু যদি আমাকে
তার ট্রাভেল এজেন্সি সম্পর্কে না বলত বা তার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার না করত তাহলে
আমি জানেতে পারতাম না তার ট্রাভেল এজেন্সি সম্পর্কে তাহলে কি হতো আমি অন্য কোন ট্রাভেল
এজেন্সিতে চলে যেতাম।
বর্তমানে আপনি খেয়াল করলে দেখবেন রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা তাদের
নামে ফেসবুকে পেইজ খুলছে অনেকের ইউটিউব চ্যানেল ও আছে তাতে করে তারা তাদের সম্পর্কে
মানুষদের কে জানাচ্ছে। সে কনখ কি করলো মানুসের জন্য সে কি করতে আছে কোথায় যাচ্ছে, তার
এলাকার মানুষের জন্য সে কতো কষ্ট করছে, ইত্যাদি। আর এর মাধ্যমে তার ব্যাক্তিগত ব্রান্ডিং
হচ্ছে। এবং সে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
আপনার যে ফেসবুক একাউন্টটা আছে সেটাও আপনার ব্যাক্তিগত ব্রন্ডিং
করছে। এখানে আপনি আপনার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় শেয়র করছেন তাতে করে মানুষ আপনার শেয়ার
করা বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পারছে। তাতে করেও আপনার ব্যাক্তিগত ব্রান্ডিং হচ্ছে।
এবার আসি আমরা আমাদের ব্যাক্তিগত ব্রান্ডিংকে কি ভাবে কাজে
লাগাবো এবং কি ভাবে আমাদের ব্যাক্তিগত ব্রান্ডিং করব।
আমরা চাইলে আমাদের ফেসবুক একাউন্ট, টুইটার একাউন্ট, লিংডিইন
একাউন্ট ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া এর মাধ্যমেও করতে পারি আমাদের ব্যাক্তিগত ব্রান্ডিং
আরও ভালো ভাবে যদি করতে চাই তাহলে আমাদের একটি ওয়েব সাইট খুলে নিলে সব থেকে ভাল হয়।
এই বিভিন্ন মাধ্যমে গুলো ব্যাবহার করে যদি আমারা আমাদের দক্ষতা
সম্পর্কে মানুষদের জানাই তাহলে দেখা যাবে এই ধরনের কাজ করানোর জন্য মানুষ আমাদের সাথে
যোগাযোগ করছে তাতে করে কি হবে আমাদের কাজ পাওয়াটা সহজ হবে। এবং আমরা আমাদের কর্মজীবনে
অনেক বেশি সফল হতে পারব আমরা।
আপনি ব্যাক্তিগত ব্রান্ডিং এর মাধ্যমে নিজে যেমনি করে সফল
হতে পারবেন তেমনি ভাবে আপনার ব্যবসাকেও সফল করতে পারবেন।
তাই আমি মনে করি প্রতিটি মানুষের জীবনেই ব্যাক্তিগত ব্রান্ডিং
এর দরকার আছে। তাতে করে তার কাজ গুলো অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। এবং তার পরিচিত মানুষদের
কাছ থেকে অনেক বেশি অনুপ্রেনা পায়। তাতে করে তার কাজ করার মানুষিকতা অনেক অংশে বৃদ্ধি
পায়।
No comments
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য আমাদের জানান। এখানে আপনার মন্তব্য করুন