জীবের প্রতি দয়া
লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন
গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যায় সাফিনের। শীতের রাত। মাঘের শীত। টুপটাপ কুয়াশা পড়ছে গাছের পাতা বেয়ে টিনের চালে।ঘুম ভাঙার কারণ খুঁজে পায় না সে। শুধু অদ্ভুত রকমের একটা শব্দ শুনতে পায় সে। উৎসুক হয়ে শব্দের উৎস খুঁজতে থাকে সে। শুয়ে শুয়েই শব্দের উৎস খোঁজে। এক সময় উঠে বসে এবং জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। এবার বুঝতে পারে কোত্থেকে থেকে আসছে শব্দেটা। কয়েকটি বিড়াল ছানা শীতে কাতরাচ্ছে। শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য মা - বিড়ালটার বুকের ভিতর আশ্রয় নিতে গিয়ে ঠেলাঠেলি করছে ছানাগুলো। সাফিনের মায়ের কথা মনে পরে যায়। মা নেই ওর । বুকের ভিতর হু হু করে ওঠে। অস্থির হয়ে ওঠে সাফিনের হৃদয়। দরজা খুলে বের হয় সে। ধিরে ধিরে এগিয়ে যায় সে। তার হাতে কয়েকটা ছালার চট। অনেক যত্নে অনেক মমতায় ছালার চট দিয়ে সুন্দর ভাবে ঢেকে দেয় বিড়াল ছানা গুলোকে। আনন্দে - কৃত,,,,,,। কুৎকুৎ করে ডাকতে থাকে ছানা গুলো। শীতের হাত থেকে রেহাই পায় ওরা। অনেকক্ষণ তাকিয়ে থেকে ঘরে ফিরে এসে ঘুমিয়ে পড়ে সাফিন। সকালে ঘুম ভাঙলে রাতের কথা মনে পড়ে যায় সাফিনের। দৌড়ে যায় ছানাগুলোর কাছে। তখন ছালার চটের নিচে শুয়ে খেলা করছে অবোধ ছানা গুলো। ওকে দেখে পিট্ পিট্ করে তাকায়। ভালো লাগে সাফিনের। ভাতের মাড় এনে খেতে দেয় ওদেরকে। চুকচুক করে খায় আর ওর দিকে তাকায়। চোখে - মুখে ভালোবাসার ছাপ। অবুঝ জীব গুলোর নীরব চোখের ভাষায় মন গলে যায় সাফিনের। মানুষেরা হাসি- তামাশা করলেও সাফিনের পরম আদরে ছানাগুলোকে খাওয়ায়। শীতের রাতে ছালার চট বিছিয়ে দেয় এবং অন্য চট দিয়ে ঢেকে দেয় যাতে শীতে কাবু হয়ে না যায় ছানা গুলো। ছানা গুলো যেন সন্তানের মতো আপন হয়ে উঠে সাফিনের কাছে। ঘুমোতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন যত্ন নেয় ওগুলোকে। ওরাও অপেক্ষায় থাকে কখন আসবে সাফিন।
wow
ReplyDelete👌👍
ReplyDeleteখুব সুন্দর গল্প
ReplyDelete