বাবা নেই সাত বছর পূর্ণ হলো
বাবা নেই সাত বছর পূর্ণ হলো
লেখকঃ আব্দুল্লাহ
মাহমুদ.
বাবা নেই সাত বছর পূর্ণ হলো। আমার বয়স এখন পনের বছর। দীর্ঘ পনের বছর মধ্য বাবার কোলে গড়াগড়ি খেয়েছি আট বছর। আমার পরিবারে আমি সবার ছোট সন্তান। ছোট দের আদর একটু বেশিই হয়।সবার মুখে শুনি -বাবা আমাকে অনেক আদর করেছিলেন। দোয়াও করেছেন প্রাণ ভরে। যার ফল আমি পাচ্ছি। দিন কয়েক আগে বাবার মৃত্যুবার্ষিকি গেলো। কিন্তু বাবাকে একটুও একটুও মনে পড়েনি। তার কেমন সন্তান আমি! পিতা মারা যাবার দিনটিও মনে খোদাই করতে পারি নি। খুব ইচ্ছা করে বাবার কোলে গড়াগড়ি খাওয়ার স্মৃতি মনে করতে। কিছু স্মৃতি মনে পরে। আবার কিছু মনে পড়া শুরু না হতেই কোথায় যেন হারিয়ে যায়। ইস! কতো শীতের রাতেই না বাবা আমকে তার কোলের মধ্যে আগলে রেখেছে। ইস! কতো দিনই যানি আমার করা প্রসাবের কারণে তার ইবাদত হয়নি। বাবা মন খুলে কিছু বলতে ইচ্ছা করে। আমি সেই সোহাগ মাখা রাতের কথা গুলো মনে করতে পারতেছি না। খুব ইচ্ছা করে বলতে বাবা একটু কোলে নাও না। কিন্তু তা তো আর সম্ভব না। কিছু স্মৃতি থাকে যা কখনো হারানোর নয় যা হৃদয়ের অকপটে গেথে থাকে। তেমনি একটি হৃদয়ের গহিনে খোদায় করা স্মৃতি। ২০০৪ সাল, বাবা খুব অসুস্থ হয়ে পরলো। সহায়ক ছাড়া উঠতেই পারতেছে না। মুত্যুর সয্য প্রায়। ভালো চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে নেওয়া হচ্ছে। লেগুনা ( এক ধরনের গাড়ি) আমি খেলতে ছিলাম মাঠে। আমাকে ডেকে পাঠালে আমি চলে আসলাম গাড়ির কাছে। সে দিনের বাবার চেহারাটা খুব মনে পড়ে। দু'ই চোখ দিয়ে আমার দিকে চেয়ে ছিল। কিছু বলতেছে না সুধু চেয়ে আছে অনেক্ক্ষণ। আমি সে দিন কিছুই বুঝতে পারিনি। আমি তখন দুরন্ত এক বালক, ছোট থাকলে যা হয় আর কি। কোন চিন্তা নাই সারাটা দিন কি করে খেলা ধুলা করবো সেই চিন্তায় মত্ত থাকতাম। বাবা চেয়ে থাকাটা যে একজন সন্তানের প্রতি শেষ চেয়ে থাকা তা আমি বুঝিনি। আমার প্রতিটি সলতার পিছনে বাবার রুহানি দোয়া কাজ করে। তা আমি জীবনের প্রতিটি পরোতে পরোতে তা বুঝতে পারছি। ২০১৪ সাল দুইদিন পর আমার এসএসছি পরিক্ষার রেজাল্ট। জুমার নামাজ পরে বাবার কবরের পাশে গিয়ে অঝর ধারায় কেদেছি। সে দিন এতো কান্না কোত্থেকে এসেছিল যানি না। আমার এসএসছি পরিক্ষার সোনালী সফলতা পিছনে বাবার রোহানী দোয়া ছিল তাতে একটুও সন্দেহ নেই। সবশেষে বাবার জন্য কিছু কথা বলতে চায় যা হয়তো বাতাসে মিলিয়ে যাবে কিন্তু তাও বলতে হয়। বাবা আমি তোমাকে খুব মিস করি। তোমার এই দুনিয়ার শেষ দিনটা যা এখনো আমার মনে মাঝে গেথে আছে৷ তোমাকে খুব ভালোবাসি খুব। কি মনে চায় যানো? তোমার শীতল বুকে মাথা রেখে সব দুঃখ -কষ্ট ভুলে যেতে। তোমার হাতটা যদি আমার মাথায় আবার পরতো একটু আদর করতা খুব মিস করি এগুলো।। তুমি সুখে থেকো। হে আসমানের মালিক আমার বাবাকে তুমি জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মাকাম নছিব করুণ।। এক জন পিতার জন্য তার সন্তানের এই আরজি টুকু মন্জুর করো
‘‘আমিন’’
kubi e kostodaiok
ReplyDelete