মায়ের ভালোবাসা
মায়ের ভালোবাসা
লেখকঃ আব্দুল্লাহ মাহমুদ।
মাহমুদ বয়স তিন বছর। তাঁর মা মারা যায় তার বয়স যখন ছয় মাস ছিল।ছোট্ট বয়সে মা মারা যাওয়া কষ্ট বুঝতে দেননি ফরিদ সাহের, তিনি একজন সরকারী কর্মকর্তা। মাহমুদের মা মারা যাওয়ার পর ছেলেকে নিয়ে শহরে থাকেন তিনি। ছয় মাস বয়সেই মা মরা ছেলেকে তিনি কখনো দুঃখ - কষ্ট পেতে দেননি। সামনে কুরবানী ঈদ ০২ বছর পর এবার তারা বাড়িতে যাচ্ছে বাবা - ছেলে। দূরপাল্লার গাড়িতে চরলো এবং কুয়াশা ভরা সকালে এসে তাদের এলাকায় পৌছালো । তাদের আাসার খবরে বাড়ি ভর্তি মেহমান। ছোটো ছোটো বাচ্চারা খেলতেছে৷ মাহমুদ দেখে অবাক তাদের সাথে খেলায় মেতে উঠে৷ ঈদের দিন সকালে গোছল করে আতর সুরমা লাগিয়ে নতুন জামা কাপড় পরে টুপি পরে বের হচ্ছে সকলেই। সবাই ঈদগাহের ময়দানে দিকে যাচ্ছে মাহমুদ ও ওর বাবার হাত ধরে ঈদগাহে চলে গেল, নামাজের নিয়ম অনুযায়ী নামাজ শেষ হলো। সবাই যার যার আত্মীয় সজনদের কবরস্থানে যাচ্ছে। খোদার দরবারে তাঁদের জন্য মাগফিরাত কামনার জন্য। মাহমুদের বাবা তাকে নিয়ে একা একটি কবরের পাশে গিয়ে থমকে দাঁড়ায়। বাবাকে মাহমুদ আবেগ মাখা কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো বাবা এটা কি? ফরিদ সাহেব বললো এটা কবর আব্বু, ছোট মানুষের মনে হাজারও প্রশ্ন জমে থাকে তাই আবার বললো। এটা কার কবর? তখন ফরিদ সাহেবের মুখ থেকে কথা বের হচ্ছে না। ছেলের এমন কথা শুনে। অনেক কষ্টে বললো তোমার আম্মুর। মাহমুদ আস্তে করে বাবার হাতটি ছেড়ে দিল। এক দৌড়ে কবরের খুব কাছে চলে গিয়ে আম্মু,,,, আম্মু,,, ওওও আম্মু,,, তুমি এখানে কি করতেছো। তার পর বাবার দিকে চেয়ে বললো বাবা মা এখানে কি করে আমাদের সাথে কেন থাকেনা আমার বন্ধুদের মা তো তাদের সাথে থাকে আমার মা কেন থাকে না আমাদের সাথে....
চলবে..
No comments
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য আমাদের জানান। এখানে আপনার মন্তব্য করুন